দণ্ডিত ও পলাতক আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয়ে রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসির প্রতি বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে রবিবার সকালে। এতে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তারেক রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন।
কাদের বলেন, তারেক রহমান একজন দণ্ডিত অপরাধী। তিনি পলাতক। তিনি একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। তারেক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি না, তা বিবেচনা করার দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান কাদের।
এ নিয়ে ইসিকেও অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দু’টি মামলায় একটিতে সাত বছর এবং আরেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত একজন পলাতক আসামি তারেক রহমান, যিনি বিদেশে আছেন, এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি-না, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারেকের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া কতটা সংগতিপূর্ণ তা আপনারা খতিয়ে দেখবেন।
দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে কাদের বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন জোটের প্রার্থী তালিকা একসঙ্গে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা ঠিক করার কাজ প্রায় চূড়ান্ত, এখন ফিনিশিংটা বাকি আছে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে জোটগতভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
দলের মনোনয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। বর্তমানে যারা সাংসদ আছেন, তাদের থেকে খুব বেশি বাদ পড়বেন না। আগের জরিপে দেখা গিয়েছিল, অনেক সাংসদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কমেছিল। কিন্তু সর্বশেষ মার্চ মাসের জরিপে দেখা গেছে ওই সাংসদেরা তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ফিরে পেয়েছেন। তাই খুব বেশি সাংসদ এখান থেকে বাদ পড়ছেন না।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া ১৪ দলে যারা সাংসদ আছেন তারাও মনোনয়ন পাবেন এবং জোটের অন্য শরিকেরা যারা সংসদ হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন তারাও মনোনয়ন পাবেন।
জোটের শরীকদের কতগুলো আসন দেয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৬৫ থেকে ৭০টির মতো। তবে এর মধ্যেও আলাপ আলোচনা ও জরিপ অনুযায়ী জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী বেশি হলে তাদের আরো বেশি আসন দেয়া হবে। আর কম থাকলে তাও বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, যেমন আমাদের মধ্যে যারা জয়ী হওয়ার মতো না তাদের বাদ দিতে দ্বিধা করব না। জরিপ অনুযায়ী যারা এগিয়ে আছেন তাদের মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে আমরা তাদের তালিকা অর্থাৎ তারা যাদেরকে মনোনয়ন দিতে চান সেই তালিকা চেয়েছি। আগামীকালের মধ্যে সেটা পেয়ে যাব। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবেও বসতে পারি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৪ দলের শরিকরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবেন লাঙল প্রতীক নিয়ে। ১৪ দলের নতুন শরিক যুক্তফ্রন্ট কোন প্রতীকে নির্বাচন করবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা চাই তারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করুক। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এস কিবরিয়া আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী থাকলেও তার ছেলে রেজা কিবরিয়া কখনোই আমাদের ছিলেন না, আওয়ামী লীগের ছিলেন না। তিনি যদি এখন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাতে আওয়ামী লীগের কিছু যায় আসে না।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]