প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
রবিবার গণভবনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পমেয়াদে কোনো দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আবারো ক্ষমতায় এলে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যুব সমাজের বেকারত্ব দূর করার জন্য সরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মোবাইল থেকে শুরু করে এত টেলিভিশন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ব্যাংক, বিমা, বিমান, হেলিকপ্টার সার্ভিস থেকে শুরু করে আজ যা কিছু দেখা যায় তা আমাদের করা। আমি একটি চিন্তা করেছি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গ্রাম পর্যায়ে। উন্নয়ন শহরের মানুষের জন্য নয়। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছিলাম। সেই ব্যাংকে কোনো যুবক জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারে। প্রথম পর্যায়ে এটি এক লাখ এবং পরে দুই লাখ করে দিয়েছি। যাতে তারা একটি কিছু নিয়ে কাজ করে খাক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যুব সমাজকে একটা বার্তা দিতে হবে। আজকে যুব সমাজের জন্য যে কাজগুলো করে দিয়ে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাদের জীবনটা যেন সম্মানজনক হয়, উন্নত হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কী পেলাম, কী পেলাম না সেই হিসাব করবেন না, হিসাব করবেন কতটুকু জনগণকে দিলাম, দিতে পারলাম।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/হাসান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]