শিরোনাম
৭ নভেম্বরের পর আর সংলাপ হবে না: কাদের
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৬
৭ নভেম্বরের পর আর সংলাপ হবে না: কাদের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের পর সবমিলিয়ে ৮৫টি দল সংলাপে বসতে চেয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো সংলাপ হবে না।


জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।


কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগ চায়, সব দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তাই সবার দাবি মেনে সংলাপ করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতির নামে লোক দেখানো সংলাপ করা হচ্ছে না।


তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের পর এবার সংলাপে বসতে চায় সব মিলিয়ে ৮৫টার মতো রাজনৈতিক দল। তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ শিডিউল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে। এ সংলাপের পেছনে নির্বাচন বানচালের মতো যে কোনো অপতৎপরতার বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। সংলাপের পাশাপাশি কেউ নাশকতার পরিকল্পনা করলে তা প্রতিহত করবে।


তিনি আরো বলেন, আমরা সতর্ক আছি, কারণ কারো মনে যদি কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেদিকেও সতর্ক আছি। আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে, সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও নিচ্ছি।


কাদের বলেন, আট তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, সাত তারিখে শেষ করব। সাত তারিখের পরে আর কোনো আলোচনা নয়। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এই সংলাপ চলবে।


প্রথমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকল্প ধারা ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণভবনে।


সংলাপে বিএনপির অসন্তুষ্টির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবেন কি হবেন না, আমরা দলনেতার (কামাল হোসেন) কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।


তিনি বলেন, গতকাল বিকল্পধারার ওনারাও কিন্তু একই সুরে কথা বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে কিন্তু তারা দ্বিমত করেননি। তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাইরে যাবে না, সেগুলো।


জেলহত্যা দিবস সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোটেক সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com