প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংলাপ শুরু হয়।
সংলাপে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রয়েছে ক্ষমতাসীন জোটের ২৩ নেতা।
এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ এবং ড. আবদুর রাজ্জাক আলোচনায় অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং আইন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিমও আছেন এ সংলাপে।
১৪ দলের শরিকদের মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদ একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাসদ আরেক অংশের কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দীন খান বাদল সংলাপে অংশ নেন।
এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে সক্রিয় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন, সাবেক দুই সংসদ সদস্য এস এম আকরাম ও সুলতান মো. মনসুর আহমেদ গেছেন গণভবনে।
এছাড়াও এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিকউল্লাহ এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণভবনে প্রবেশ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে যাত্রা শুরু করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
রওনা হওয়ার আগে নেতারা কামাল হোসেনের বাড়িতে পৌঁছে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আশা করি এই সংলাপের মধ্য দিয়ে দেশবাসী ভালো খবর পাবে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে। তিনি এর বেশি কিছু এ সময় বলতে রাজি হননি।
সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গত রবিবার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান।
এরপর ৩০ অক্টোবর সংলাপের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেয়া চিঠির জবাব দেয় আওয়ামী লীগ। এর ফলেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক হয়।
বিবার্তা/রোকন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]