শিরোনাম
‘একটা গোষ্ঠীকে উসকানি দিতে চেয়েছিলেন এসকে সিনহা’
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:১৩
‘একটা গোষ্ঠীকে উসকানি দিতে চেয়েছিলেন এসকে সিনহা’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিচারপতি এস কে সিনহা একটা গোষ্ঠীকে উসকানি দেয়ার জন্য বই প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।


শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘এসকে সিনহার স্বপ্নভঙ্গ: বিচার বিভাগের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


দেশইনফো.কম.বিডি নামের অনলাইন নিউজ পোর্টাল আয়োজিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী। কী নোট পেপার পাঠ করেন দেশইনফো.কম.বিডির নির্বাহী সম্পাদক সাজেদা হক।


ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের সঞ্চালনায় বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আরো বলেন, এসকে সিনহা কারো হস্তক্ষেপে বিদেশে যান নাই। তিনি ছুটি নিয়েই বিদেশে গেছেন। আর সেখানে গিয়ে তিনি রিজাইন দিয়েছেন। এটা না করে তিনি দেশে আসতে পারতেন। কিন্তু দেশে না এসে তিনি বিদেশে বসে বই লিখেছেন। এসকে সিনহা নিজেই বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এরটার জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়।


এসকে সিনহা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি বিচারপতি হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। বিচারপতি সিনহা জুডিশিয়াল ক্যু করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন পুরো বিচার ব্যবস্থাকে। এটা তার কাছ থেকে কেউই আশা করেনি।


ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একজন নারী সাংবাদিককে অপমান করেছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি গোটা নারী সমাজকেই অপমান করেছেন। আর মইনুল হোসেনের পক্ষ নিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। তবে মইনুল হোসেন ক্ষমা না চাইলে, মইনুলের পক্ষে ড. কামাল ক্ষমা চাইতে পারেন। তাহলেই আরো ভালো হবে।



অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি কামরুল ইসলাম বলেন, একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে একই অপরাধে মামলা একাধিক হতে পারে। কিন্তু ওই মামলাগুলোর বিচার একটাই হবে।


গোল টেবিল বৈঠকে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সিনহা বাবু বিচার ব্যবস্থা নিয়ে যে বই লিখেছেন, এতে দেশ-জাতির কি লাভ হয়েছে জানি না, তবে বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি আমাদের রিপেয়ার করতে হবে।


দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় বলেন, মি. সিনহার মধ্যে উচ্চাভিলাষ ছিল। সে কারণেই তিনি বিচারব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তবে এমন একজন’ দু’জনের কারণে নিশ্চয় পুরো বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।


গোল টেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নাজমুল হোসেন কলিমুল্লাহ, ব্যারিস্টার সুব্রত চৌধুরী, ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, আইনজীবী বদরুল আলম কচি, সাবেক ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু প্রমুখ।


বিবার্তা/খলিল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com