শিরোনাম
শেখ হাসিনার জন্মদিন 'জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস'
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০১
শেখ হাসিনার জন্মদিন 'জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস'
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে কোরান তেলাওয়াত, রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে যুবলীগ। রাজধানীর ফুটবল ফেডারেশন মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শেখ হাসিনার জন্মদিনকে 'জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস' হিসাবে পালন করার ঘোষণা দেন নেতারা।


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদের বলেন, অক্টোবরে মাঠ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। কারণ আওয়ামী লীগ আগে থেকেই মাঠে আছে। অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগ পাড়া-মহল্লায় যাবে ভোট প্রার্থনার জন্য। এই ভোটের সময় কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়া হবে।


ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সপ্তাহব্যাপী রাজধানীসহ সারা দেশে গণসংযোগ করা হবে। রাস্তা অবরোধ করে, বন্ধ করে কাউকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। জনগণের দুর্ভোগ হোক এমন কোনো কর্মসূচি কিছুতেই হতে দেব না।


বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা আন্দোলনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন, তাদের বলবো- আপনারা আন্দোলন করে ঢাকা অচল করে দেবেন, আর আমরা ঘরে বসে বসে ডুগডুগি বাজাবো? এটা হবে না।


বিএনপিকে মোকাবেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত নেয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, যারাই আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস করার চেষ্টা করবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের অচল করে দেবো। যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জনগণের সাড়া পায়নি। তাই নাশকতা-সহিংসতার পথে যাচ্ছে। ঢাকা দখল, দেশ দখলের হুমকি দিচ্ছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা দখল পাল্টা দখলে নেই। কিন্তু সহিংসতা করলে ছাড় দেবো না। আমরা পাড়া, মহল্লায় ঘরে ঘরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করবো।


শেখ হাসিনার জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


এ সময় প্রধান বক্তা হিসেব যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়নের দিবস’ হিসেবে পালন করতে চায় যুবলীগ। ক্ষমতায়নের দিবস হিসেবে পালন করতে চাওয়ার মূল কারণ হলো, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা একটি দর্শনের উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করেন। আর সেই দর্শন হলো, ‘বিশ্ব শান্তির দর্শন- জনগণের ক্ষমতায়ন’।


এছাড়া যুবলীগ মনে করে, শেখ হাসিনার জন্মদিন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। কারণগুলো হলো-


১. শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ গ্রহণ করেছিলেন ১৯৮১ সালে। যে সময় বাংলাদেশ এক অন্ধকারাচ্ছন্ন স্বৈরাচারের শৃঙ্খলে বন্দী। মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না। শেখ হাসিনা শান্তি পূর্ণ উপায়ে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেন। যেহেতু তিনি জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতীক তাই তাঁর জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করা উচিৎ।


২. শেখ হাসিনার সমস্ত সিদ্ধান্ত ও চিন্তা জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেই গ্রহণ করেন। এই কারণে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন তা জনকল্যাণ মুখী ও জন বান্ধব। তাঁর এই জন মুখী ও কল্যাণ কামী রাজনীতির কারণেই বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। জনগণের মতামতকে এখন গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই কারণেই শেখ হাসিনার জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করতে চায় যুবলীগ।


৩. শেখ হাসিনাই সবচেয়ে বেশি জনগণের কথা চিন্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তিনি যখনই দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছেন, তখনই তিনি জন বান্ধব নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, আশ্রয়ণ প্রকল্প একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্প এ সবই হলো জন সম্পৃক্ত, জনবান্ধব এবং জনগণের কল্যাণে। শুধুমাত্র একটা বিশেষ শ্রেণীর জন্যে না, বরং দরিদ্র ও প্রান্তিক জন গোষ্ঠীর জন্যে তিনি সবসময় কাজ করেছেন। এই জন্যেও তাঁর জন্মদিন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করা দরকার।


৪. জনগণের ক্ষমতায়ন মানে হলো জনগণের অধিকার। জনগণের অধিকার তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যদি একটি দেশের জনগণের তথ্য আদান প্রদানের অধিকার থাকে। জনগণ যদি উপযুক্ত, সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথে সমৃদ্ধ হয়। এজন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তথ্য প্রযুক্তিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন দেশে। বাংলাদেশ যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আর এর ফলেই মানুষ টেলিফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোনো তথ্যও আদান প্রদান করতে পারছে, সব তথ্য জানতে পারছে। এর ফলে মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহজ হচ্ছে। আর এ কারণেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করার আহবান জানাচ্ছে যুবলীগ।


৫. বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। শুধু মাত্র মানুষের কথা বলার অধিকার, রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয় বরং মানুষের যদি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকে, অর্থনৈতিক স্বস্তি না থাকে তাহলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এজন্য শেখ হাসিনা তাঁর দেশ পরিচালনার পুরো সময়টা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। মানুষের মাথা পিছু আয় বেড়েছে। যার ফলে মানুষ এখন আর অনাহাওে থাকে না। মঙ্গা এখন বিদায় নিয়েছে দেশ থেকে। এই অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটেছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্য। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে আমরা ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে বলতে পারি।



আলোচনা সভায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালানায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরণ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার সহ সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, সারোয়ার হোসেন মনা, হারুন অর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুইয়া, মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এমদাদুল হক এমদাদ প্রমুখ।


বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com