শিরোনাম
‘বর্তমান সরকারের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০১৮, ১৪:৪২
‘বর্তমান সরকারের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকার টিকে থাকতে যতোই কূটকৌশল অবলম্বন করুক না কেনো বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে জনগণ। আর অনেক আগে থেকেই সরকারের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।


শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।


রিজভী বলেন, ‘দেশের নির্বাচনের প্রচলিত সংস্কৃতিকে কলুষিত করে ভোট ডাকাতির লেটেস্ট মডেলের নির্বাচন গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরাসরি সহায়তায় আওয়ামী লীগ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরেকটি প্রতারণার নির্বাচন উপহার দিলো। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে এটি কলঙ্কিত নির্বাচনের আরেকটি ইতিহাস হয়ে রইল।’


তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল করে সিল মারার দৃশ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শত শত কেন্দ্রের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশন জিসিসি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হওয়ার ‘সার্টিফিকেট’ দিয়ে ভোট ডাকাতিকেই প্রশ্রয় দিলো।


বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ গাজীপুর ও খুলনাতে যে নাটক মঞ্চস্থ করলো তাতে ভবিষ্যতে ভোটাররা যেকোনো নির্বাচনে ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ইতোমধ্যে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আনন্দ-উল্লাসে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশসহ দাতা সংস্থা ও দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম।


তিনি বলেন, যদিও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমকে সরকারের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তথাপিও দেশের অন্যান্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্র দখল করে সিল মারার যেসব দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে তাতে ন্যূনতম লজ্জাবোধ থাকলে বর্তমান নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করতো।


রিজভী বলেন, “আওয়ামী লীগ তো আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারের স্বীকৃতি আগেই পেয়েছে, তাই ভোট ডাকাতির নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবদের গলাবাজি থামবে না এটাই স্বাভাবিক। এমনকি সমস্ত লজ্জার ভূষণ তারা খুলে ফেলেছে।


সুতরাং নিজেদের নির্লজ্জ অপকর্ম নিয়ে মাথাব্যথা নেই। ওবায়দুল কাদের সাহেব নির্বাচনের পরপরই চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন- ‘গাজীপুরে ৯টির বেশি কেন্দ্রে অনিয়ম কেউ দেখাতে পারবে না’। কাদের সাহেবকে বলতে চাই- গতকাল ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে- গাজীপুরে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ”


তিনি আরো বলেন, ‘আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবের উদ্দেশে বলবো- আপনারা বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জনগণের সঙ্গে যে উপহাস ও তামাশা করছেন তার জবাব জনগণের কাছে দিতেই হবে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার অপরাধে আপনাদের বিচার আর বেশি দিন বিলম্ব হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন ও ভোটকে জাদুঘরে পাঠানোর সকল বন্দোবস্ত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চরম মূল্য দিতে হবে সিইসিকে।’


সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।


বিবার্তা/খলিল/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com