বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ জানিয়েছেন, ঈদের দিন পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন দলের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপদেষ্টা মন্ডলী, যুগ্ম মহাসচিববৃন্দ, সম্পাদক মন্ডলী, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে বেলা সাড়ে ১১টায় পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর নেতৃবৃন্দ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা, সাজানো ও জালনথি তৈরি করে সরকারের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করা মামলায় জামিন পেলেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি এবং তার পছন্দমত হাসপাতালে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়নি।’

নেতা বলেন, ‘৭৩ বছরের বয়স্কা একজন জনপ্রিয় নেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে সরকারের চরম নিষ্ঠুরতা, সরকার অমানবিকতার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল। অমানবিক ও নির্মম নিষ্ঠুরতার প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বড় বড় স্বৈরশাসকদেরও হার মানিয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি তো বন্দি থাকা অবস্থায় সকল সুবিধা ভোগ করেছেন, পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন, এমনকি শুধু বেসরকারি হাসপাতালেই নয় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্দি করে জনগণকে বঞ্চিত লাঞ্ছিত করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে, মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরে পেতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। আমি আবারও দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত দিন, কালবিলম্ব না করে দেশনেত্রীকে তার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।’

রিজভী আরোবলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে দেশবাসী ও দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী-সমর্থকদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তার জন্য দোয়া চেয়েছেন।’

বিবার্তা/শারমিন/শাহনাজ