শিরোনাম
পরবর্তী শুনানি ১০ মে
চ্যারিটেবল মামলা: খালেদাকে হাজির করা হয়নি
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:০৮
চ্যারিটেবল মামলা: খালেদাকে হাজির করা হয়নি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য থাকলেও তাকে আদালতে আনা হয়নি। তার অনুপস্থিতে পরবর্তী যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করেছে আদালত।


ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান রবিবার এ আদেশ দেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।


কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে আনা যায়নি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান।


অস্থায়ী এই আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় সাড়ে ১১টার দিকে। শুনানির শুরুতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এই মামলায় আজ যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়নি।


এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।


এরপর ২৮ মার্চ ও ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে হাজিরের দিন ধার্য থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে হাজির করা হয়নি বলে আদালতকে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।


দুদক আইনজীবী বলেন, কারা কর্তৃপক্ষেরই উচিত বেগম জিয়াকে আদালতে হাজির করা। এ নিয়ে তিনটি তারিখে তাকে হাজির করা হয়নি। আমরা হতাশ হচ্ছি।


ভিডিও কনফারেন্স বিষয়ে আজও দুদকের এই আইনজীবী আদালতকে বলেন, আমরা দুই পক্ষই যদি একমত হই, তাহলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চলতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এর মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম চলছে।


তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া দুদকের এই আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে আমাদের ঘোর আপত্তি রয়েছে। এভাবে বিচার পরিচালনা হতে পারে না। প্রসিকিউশন থেকে বলা হচ্ছে খালেদা আনফিট। কী কারণে আনফিট, তা বলা হয়নি।


এছাড়া দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ১০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।


খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।


বিবার্তা/বিপ্লব/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com