শিরোনাম
সরকার হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: আমির খসরু
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৮, ১৫:৪২
সরকার হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: আমির খসরু
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সরকার চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।


তিনি বলেন, বিএনপিসহ ২০ দলের মধ্যে কোনো হতাশা নেই। হতাশা কিন্তু সরকারি দলে এবং তাদের হতাশা এমন পর্যায়ে গেছে যে তারা কোনো পথ খুজে পাচ্ছে না যে, কোন পথে চলবে?


জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা সুসংহত, আইনের শাসন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় দল নামের একটি সংগঠন।


সরকারি দলের আচরণ শুধু অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক নয়, তাদের আচরণ ফ্যাসিজমে পৌঁছে গেছে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, এটা নিরাপত্তাহীনতার একটি লক্ষণ। এই ধরণের একটি দল যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, জনগণকে ভয় পায় তখন তারা জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। তারা আজকে বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এর একটি মাত্র কারণ সেটা হলো তারা নিরাপত্তাহীনায় ভুগছে এবং তারা এগুলোকে কব্জা করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।


বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, তাদের নিরাপত্তাহীনতা এমন পর্যায়ে গেছে যেখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অস্ত্র নিয়ে আসতে হয়।


সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার যে প্রকল্প নিয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণকে বাইরে রেখে, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে হবে। জনগণকে যদি ভোট থেকে বাইরে রাখতে হয় তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে হবে। তাদেরকে ব্যাংক লুট করে, শেয়ার বাজার লুট করে, মেগা প্রকল্পের নামো হাজার হাজার টাকা লুট করে তাদেরকে নির্বাচনী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।


তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হলেন আপসহীন নেত্রী। তিনি আজকে গণতন্ত্রের মা উপাধী পেয়েছেন। দেশে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরিয়ে আনতে তিনি আজ জেলে গিয়েছেন। দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার ফিরে পেতে তিনি জেলে গিয়েছেন।


জাপা মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ইতিহাস সাক্ষী অপশাসন চালিয়ে কোনো স্বৈরাচার তাদের শাসনকে চিরস্থায়ী করতে পারে না। গণঅভু্ত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন অনিবার্য।


এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সময়মত কঠিন কর্মসূচির ঘোষণা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে রাজপথের আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই। আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ২০১৪ সালের একদলীয় নির্বাচন বর্জনকারী সকল দলের সাথে আলোচনার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যমঞ্চ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।


বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, জোটের প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ২০ দলীয় জোটের জোটগতভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারা চরম ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায় সকলকে বহন করতে হবে। জোটকে কার্যকর করা না গেলে আন্দোলনে সুফল আসবে না। ছেলে-মেয়ে বিপথে গেলে যেমন মা-বাবা দায় এড়াতে পারে না, ঠিক তেমনই জোটের কোনো শরিকের মঝে হতাশা আসলে বা বিপথে গেলে জোটের প্রধান দল হিসাবে বিএনপিও এর দায় এড়াতে পারবে না।


আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহ্সানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী মোস্তোফা জামান হায়দার, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তোফা ভূইয়া, লেবার পার্টির (একাংশের) হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় দলের মহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com