শিরোনাম
‘খালেদা জিয়া নূন্যতম আইনি সুবিধা পাচ্ছেন না’
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৩:২৩
‘খালেদা জিয়া নূন্যতম আইনি সুবিধা পাচ্ছেন না’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কারাবন্দী হওয়ার পর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নূন্যতম আইনি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই অভিযোগ করে বলেন, কর্মদিবস পাঁচদিনের মধ্যে বিচারের রায়ের কপি দেবার কথা সেটা এখনো পর্যন্ত দেয়া হয়নি।


জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।


মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে তাকে একটি নির্জন কারাগারে অন্ধ প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে। যা কোনো মতেই এই স্বাধীন দেশের আইনের মধ্যে পড়ে না। সরকার বিচারবিভাগকে সম্পূর্ণ দলীয়করণের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে সাজা দেবার পরে তারা এখন আইনের ন্যুনতম যে সুযোগ-সুবিধা আছে, যে বিধান আছে সেগুলো পর্যন্ত তারা পালন করছে না।


খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই সরকার আগামী নির্বাচনে নীলনকশা বাস্তবায়ন করতেই তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছে বলেও দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।


সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হবার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যার বয়স ৭৩ বছর যিনি তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনটাই এদেশের জনগণের অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, তাদের বাঁচার অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। জীবন সায়াহ্নে এসে যিনি কোনোদিন অন্যায়ের সঙ্গে, স্বৈরাচারের সঙ্গে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোস করেননি,
সেই নেত্রীকে আজকে তারা আটকে রেখেছে।


তিনি বলেন, দেশ এবং খালেদা জিয়া, গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া-এই দুইটা একাকার হয়ে গেছে। তাই দেশনেত্রীকে আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে মুক্ত করে আনতে হবে। আসুন তার মুক্তির দাবিতে আমরা সোচ্চার হই। তাকে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা মুক্ত করে নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ।


প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ব্যর্থতা, আর্থিকখাতে দুর্নীতিসহ সর্বক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, এদেশে সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আজ ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধবংস হয়ে যাচ্ছে। শেয়ার মার্কেট ধবংস হয়ে গেছে। কোথাও কোনো বিচার নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না। আজকে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কোনো বিচার হয় না। কারণ এর সাথে সরকার জড়িত রয়েছে।


তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। প্রতিটি দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক মানুষের দায়িত্ব সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই যে ফ্যাসিস্ট সরকার যারা দেশের মানুষের বুকে পাথরের মতো চেপে বসেছে, তাদের অপসারণ করতে হবে। দেশে গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস বইতে হবে। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।


মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী কারাগারে যাবার সময়ে যে কথা বলে গেছেন যে, আপনারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবেন, অবিচল থাকবেন, মাথা নত করবেন না এবং শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক উপায়ে এর প্রতিবাদ জানাবেন, আন্দোলন করতে থাকবেন। পৃথিবীর ইতিহাস বলে এভাবে অন্যায় করে নিপীড়ন-নির্যাতন করে কোনো দিনই টিকে থাকা যায় না। সর্বত্র তারা স্টিমরোলার চালাচ্ছে।


মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের রাশেদা বেগম হীরা, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, হালিমা নেওয়াজ আরলী, ইয়াসমীন আরা হক, আমেনা খাতুন, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।


বিবার্তা/বিপ্লব/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com