শিরোনাম
আজই অর্থমন্ত্রীকে অবসরে যাওয়ার অাহবান বাবলুর
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫২
আজই অর্থমন্ত্রীকে অবসরে যাওয়ার অাহবান বাবলুর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আর্থিক খাতে অনিয়মের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে এই মুহূর্তে অবসরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু।


তিনি বলেন, আপনি ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন আপনি রক্তক্ষরণ করে যাবেন? আমাদের বাঁচান, দেশকে বাঁচান, জাতিকে বাঁচান। ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার কী? আপনি আজই অবসরে চলে যান।


রবিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রীর ডিসেম্বরে অবসরে যাওয়ার ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন।


স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদের বৈঠকে আইন প্রণয়ন কার্যক্রমের পর জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্যের সূত্রপাত করেন। তিনি শেয়ার বাজারে ধস নিয়ে কথা বলেন। পরে জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু গোটা আর্থিক খাত নিয়ে কথা বলেন।


তিনি বলেন, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। অর্থপাচার নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। প্রথম পানামা পেপারসে নাম এলো, অর্থমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নিলেন না। এরপর এলো প্যারাডাইস পেপারস নামসহ অনেক ব্যবসায়ীর নাম। তাতেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। ব্যাংক খাতে চলছে আতঙ্ক উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি। এই হচ্ছে মানি মার্কেটের অবস্থা।


জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘পানামা পেপার কেলেঙ্কারির জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। আমাদের ২৭জনের নাম এসেছে। কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কত টাকা পাচার হয়েছে, তারও কোনো হিসাব অর্থমন্ত্রী সংসদে দেননি। মনে হয় তিনি বাধ্যও নন। মাঝে বললেন, চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা হলো? এর দায়িত্ব আপনাকে (অর্থমন্ত্রীকে) নিতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে আজই অবসরে যান। দেশ ও জাতিকে পরিত্রাণ দিন।


এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্যারাডাইস পেপারস, পানামা পেপারসে কোনো রাজনীতিবিদের নাম আসেনি। যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় কিসের? সুশীল সমাজ অনেক কথা বলে। আমাদের নামে (রাজনীতিবিদদের) কোনো অ্যাকাউন্ট বের করতে পারেনি। তাদের নামেই বের হয়েছে।


জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, সোনালী, জনতা, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকের রিফাইনেন্সিং দরকার। দুই হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। গত কয়েক বছরে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। কার টাকা এটা। এটা গৌরি সেনের টাকা নয়। ১৬ কোটি মানুষের টাকা। কীভাবে দিলেন, তার কোনো উত্তর নেই।


তিনি বলেন, সব ব্যাংকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ছোট বেলায় শুনতাম, যার হয় যক্ষ্মা, তার নাই রক্ষা। অর্থনীতির যক্ষ্মা হয়েছে, অর্থনীতির কোনো রক্ষা নাই। বাঁচাতে হবে। অর্থনীতির রক্তক্ষরণের কারণে দেশের রক্তক্ষরণ হচ্ছে, জাতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দেশী-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কর্মসংস্থান না হলে অর্থনীতি বেগবান হবে কীভাবে?


বিবার্তা/বিপ্লব/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com