শিরোনাম
বিকল্প শক্তিকে বোমা মেরে স্তব্দ করা যাবে না : সেলিম
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:০৯
বিকল্প শক্তিকে বোমা মেরে স্তব্দ করা যাবে না : সেলিম
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগ আর বিএনপির বাইরে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রয়াস বোমা মেরে বন্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের সামনে আয়োজিত এক সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন সিপিবির এই নেতা।


২০০১ সালে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এগিয়ে যাবো। এই দেশে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির বাইরে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে একটা বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার জন্যই আমাদের প্রয়াস, এটাকে বোমা মেরে বন্ধ করা যাবে না।


তিনি বলেন, এই সরকার গরিব মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কিছু করতে পারেনি। তাই এ সরকারের পরিবর্তন প্রয়োজন । তবে এই সরকার পরিবর্তন করে হাওয়া ভবনের সরকার আসলে গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। আমরা হাওয়া ভবনও চাই না, লুটপাটও চাই না!


সেলিম আরো বলেন, দুইটা শব্দের প্রতি আমাদের দেশের শোষক শ্রেণী চরমভাবে ক্ষিপ্ত। একটা হচ্ছে সমাজতন্ত্র ও সমাজবিপ্লব, আরেকটা হচ্ছে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প। স্বৈরাচারের পতনের পর উদারবাদী ধারায় পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতিকে চিরস্থায়ী করা এবং এর বাধা সৃষ্টিকারী কমিউনিস্টদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্যই পল্টন ময়দানে হামলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রগতিশীল শক্তিকে শেষ করে দেয়ার জন্য যশোরে উদীচী কার্যালয়ে হামলা করা হয়।


সিপিবি সভাপতি আরো বলেন, আমাদের শোষক শ্রেণী তাদের স্বার্থের জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের মধ্যেই রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। এজন্যই বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর বারবার হামলা। আর সেই সময় পাড়ায়, মহল্লায়, গ্রামে, গঞ্জে যখন কমিউনিস্ট পার্টির বিস্তৃতি ঘটেছিল, ঠিক তখনই সে শক্তিকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেয়ার জন্য এ হামলা হয়েছিল।


ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, শুধু হামলা করেই তারা ক্ষান্ত হয় নাই। দীর্ঘ ১৭ বছর পরেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় নাই। মিথ্যাচার শুরু করলো, এই মামলা নাকি কোনো সাক্ষী আসে না। অথচ আমি নিজে তিন তিনবার যাওয়ার পর অবশেষে সাক্ষ্য নেয়া হয়।


সেলিম আরো বলেন, পল্টনে যারা শহীদ হয়েছে তারা সমাজ বদলের জন্যই পতাকা হাতে মৃত্যুবরণ করেছে।


এ সময় ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের জোর দাবি জানান সিপিবির নেতারা। এর আগে তারা সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে শহীদ স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পল্টন হত্যাকাণ্ড দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তি ভবনের অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।


উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে সিপিবি আয়োজিত এক মহাসমাবেশে বোমা মেরে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। এসময় আহত হন শতাধিক মানুষ।


বিবার্তা/বিপ্লব/শাহনেওয়াজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com