শিরোনাম
`সরকারের ইঙ্গিতেই ঢাকা সিটি নির্বাচনে স্থগিতাদেশ'
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:১৭
`সরকারের ইঙ্গিতেই ঢাকা সিটি নির্বাচনে স্থগিতাদেশ'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে রাষ্ট্র পক্ষের নীরবতায় প্রমাণ করে উপনির্বাচনে সরকারের ইঙ্গিত ও যোগসাজশ রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, সরকার যদি সত্যিই নির্বাচন চাইতো তাহলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপীল বিভাগে যেতো। এখন তারা হাত-পা গুটিয়ে ফেলেছে। এমন একটা ভাব করছে যে, স্থগিতাদেশ একটি স্থায়ী বিষয়, এর বিরুদ্ধে যেন আপীল করা যায় না।


শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে জাগপা ছাত্র লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মওদুদ বলেন, এটাই প্রমাণ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যোগসূত্রে এই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। সুতরাং সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একই পথের যাত্রী। তারা হেরে যাবে বলেই নির্বাচন স্থগিত করার নীলনকশা করেছে।


তিনি আরো বলেন, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই ইউপি চেয়ারম্যানের রীট আবেদনে গত বুধবার হাইকোর্ট উত্তরের ভোট স্থগিত করে দেয়। এর অভিযোগ ছিল নির্বাচন কমিশনের তফসিলে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত তারা চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নাই।


অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয় আদালতের আদেশের পেছনে সরকারের কোন ভূমিকা নেই। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি নির্বাচন কমিশন। ইসি’র আইনজীবী শুধু বলেছেন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।


ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, তাহলে আপনারা যান না কেন ? আগামী নির্বাচনে কি হতে যাচ্ছে এটা এখন দেশের মানুষ নিশ্চয় বুঝতে পারছে।


এটর্নী জেনারেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানী হল আপনি শুনানীতে আসলেন না। আদালত বললেন আগামীদিন আদেশের জন্য রাখছি, তারপরের দিন আদেশের জন্য জন্য মামলা উঠল এটর্নী জেনারেল তখন আসলেন না। তাকে খবর দেয়া হল। আদালত অপেক্ষা করেছিল তার আসার জন্য। কিন্তু তিনি আসলেন না।


প্রধান আলোচকের জাগপা’র সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছরেও ডাকসু নির্বাচন না হওয়াটা সরকারের জন্য চরম ব্যর্থতাস্বরূপ। ফলে দেশে ভালমানের কোন রাজনৈতিক নেতা তৈরী হচ্ছে না। যার দরুণ মেধাভিত্তিক রাজনীতির সংকট দেখা দিয়েছে।


জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রুবেলের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জাগপা’র সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান সহ সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, মাস্টার এম.এ মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাছ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শামীম আক্তার পাইলট, জাগপা নেতা আশরাফ আলী খান, যুব জাগপা নেতা আরিফুল হক তুহিন, রিয়াজ রহমান, জাগপা ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহমান ফারুকী, শ্যামল চন্দ্র সরকার, মিনহাজ প্রধান রাব্বি, নুর ইসলাম, শাহরিয়ার সোহেল, মিজানুর রহমান, আবু নাঈম, ফয়সাল আহমেদ অরণ্য, আমির হোসেন আমু প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com