জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি রাজনৈতিক মামলা। আর এ মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠালে তার জনপ্রিয়তা কমবে না বরং বাড়বে। আর তিনিই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে দশম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীনে মামলাটি করা হয়েছে। তবে এই মামলার প্রক্রিয়া, অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। তাই এ মামলা চলারই কথা না। এই মামলা প্রথম দিনেই খারিজ হওয়া উচিত ছিলো। তা যে এখন পর্যন্ত চলছে এটাই অস্বাভাবিক।
মওদুদ আহমদ আরো বলেন, ১৮ বছর পরে নথি বের করা হয়েছে। প্রসিকিউশন নিজেই স্বীকার করেছে, এটি আসল নথি নয়। এটি ঘষামাজা ওভার রাইটিং করা নথি! খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন, আইনানুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আইনানুসারে আপনি (বিচারক) তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই সব বিবেচনায় আপনি (বিচারক) খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত খালাস দেবেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে দুই মামলার হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হন। ১১টা ৪৩ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। মওদুদ আহমদ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে সোয়া ১টায় তা শেষ করেন।
বিবার্তা/বিপ্লব/শাহনেওয়াজ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]