শিরোনাম
জয় এ তথ্য কোথায় পেলেন, প্রশ্ন ফখরুলের
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:১৬
জয় এ তথ্য কোথায় পেলেন, প্রশ্ন ফখরুলের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

‘আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবেই। আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো রাজনৈতিক দল দেশে নেই’- সজিব ওয়াজেদ জয়ের এ বক্তব্যের প্রতিক্রয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন করে বলেছেন, উনি (জয়) কোন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এসব কথা বলেন?


মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। কমরেড মো. তোয়াহার ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল।


উল্লেখ্য গত সোমবার আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ মন্তব্য করেন।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ সরকারি দলের বড় বড় ব্যক্তিত্ব, যারা বেশিরভাগ সময় বিদেশে থাকেন। তারা একেক সময় এসে একেক কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগকে হারানোর মতো দল হয়তো বিদেশে আছে। একটা নির্বাচন দিয়ে দেখান, এরপর প্রমাণ হয়ে যাবে। যে নির্বাচনে আপনারা সরকারে থাকবেন না, নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, যার ভোট সেই দেবে। তাহলেই প্রমাণ হয়ে যাবে কে জয়লাভ করবে। আমরা তো একথা বলি না যে বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটই জয়লাভ করবে।


তিনি আরো বলেন, খেয়াল করবেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তারা এসে বলেছিলেন, আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ জিতবে। মনে আছে নিশ্চয়ই আপনাদের। আজ আবার বলছেন, তথ্য এসে গেছে, আওয়ামী লীগ জিতবেই। আরো বেশি ভোটে জিতবে এবং বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে এমন কোনো পার্টি নেই। আমি জানি না, হয়তো দেশের বাইরে থাকতে পারে তাদের হারানোর মতো দল।


সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, একটু দেয়ালের লিখনটা পড়ুন। আজ খবরের কাগজে দেখবেন নেপালে নির্বাচনে বামপন্থীরা জয়লাভ করেছে। নেপালে প্রথম সংবিধানের পরে বিরোধী দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। জনগণ যখন তার মতামত প্রকাশ করার সুযোগ পাবে, তারা সঠিকভাবে প্রকাশ করবে। জনগণ হচ্ছে একমাত্র শক্তি। বিএনপি অন্য কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্তের ওপর নির্ভর করে না। আমাদের বাইরে থেকে ঘুরে এসে বলতে হয় না আমরা জিতবো। আমরা দেশের মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে ভাষা বুঝে বলতে পারি, তোমরা (আওয়ামী লীগ) পরাজিত হবে।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন দেয়া যাবে না। এদেশের মানুষ এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষ আগামী দিনের সরকারকে ক্ষমতায় বসাবে। ধানাই-পানাই করে সংবিধানের দোহাই দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া যাবে না। কারণ সংবিধান পরিবর্তন করছেন আপনারাই। সংবিধান পরিবর্তনের আগে গণভোট কিংবা জনগণের মতামত নেননি। যে সংসদের ১৫৪ জন নির্বাচিত নয়, শতকরা ৫ জন ভোট দিয়েছিল যে নির্বাচনে, সেই সংসদ কখনও জনগণের সংসদ হতে পারে না। সেই সংসদে পাস করা কোনো সংবিধান জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।


নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবারো প্রশাসনের হাতে গিয়েই পড়লো।


আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, জাগপার প্রধান রেহেনা প্রধান প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com