একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও সেদেশের জনগণ যেভাবে আমাদের পরম বন্ধু হয়ে পাশে ছিল; রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্যেও ভারত বাংলাদেশ ও মানবতার পক্ষে আন্তরিক হয়ে কাজ করবে।
রবিবার রাজধানীর নির্মল সেন হল মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
আলোচনা সভায় বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইন্দিরা গান্ধী এই উপমহাদেশের একজন নেতা নন; তিনি মানবতার জন্য বিশ্বের কাছে আজ একটি উদাহরণ। তার রাজনৈতিক বিচক্ষনতা আর সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের কাছেও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আজ মিয়ারমার সরকারের উদ্দেশ্য-প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ আমাদের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মিয়ানমার কর্তৃক বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চেয়েও তখন আমাদের অবস্থা ছিল আরো ভয়াবহ! আর সেই মুহূর্তে পরম এবং পরিক্ষিত বন্ধুর মতন হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তখন আমাদের প্রায় ১ কোটি মানুষকে তিনি শুধু আশ্রয় দেননি; বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গড়তে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করেছিলেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিলের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির নির্বাহী সম্পাদক সাদেক সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি গণি মিয়া বাবুল, জাতীয় গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, মানবাধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান খাজা মহিবুল্লাহ শান্তিপুরী, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]