সিইসির বক্তব্য শিষ্টাচার বিরোধী, সংবিধান লংঘন, পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যু্বলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপির মুখপাত্রের মতো কথা বলেছেন। তিনি এমন বক্তব্য রেখেছেন যা অসাংবিধানিক এবং অসত্য। সিইসির এই বক্তব্যের কারণে তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অবিলম্বে সিইসির বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, রবিবার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও সূচনা বক্তব্যে তিনি বিএনপিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।
সিইসির বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিশ্চিতভাবেই বিএনপিকে খুশি করতে এবং বিএনপির ‘আস্থা’ অর্জনের জন্য এমন অযাচিত, অপ্রাসঙ্গিক স্তুতি করেছেন। কিন্তু এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি শুধু মিথ্যাচার করেননি, ইতিহাস বিকৃতি এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো দলকে তৈলমর্দন জরুরি নয়।
তিনি বলেন, সিইসি যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, সেগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে মোটেও সম্পর্কিত নয়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি হলো, নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য হয় আওয়ামী লীগকে গালি দিতে হবে অথবা বিএনপিকে প্রশংসা করতে হবে। এক শ্রেণির সুশীল ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর জাতির ওপর এই ভারসাম্য তত্ত্বের ভূত চাপিয়েছিল।
এখনো বাংলাদেশে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ভর করে আছে দাবি করে তিনি বলেন, বিশেষ করে কিছু চেয়ারে এখনো পাকিস্তানি ভূতের আছর রয়ে গেছে। ওই সব মহান ব্যক্তিরা চেয়ারে বসে অনেক জ্ঞানবিবর্জিত কথা বলেন। চেয়ারলোভীরা নিজেকে ঈশ্বরের পরেই ক্ষমতাবান মনে করেন। আর ক্ষমতা জাহির করার জন্য তিনি নিরপেক্ষতার মুখোশ আঁটেন মুখে। তখন তিনি নন, কথা বলে ‘ভূত’।
ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, নায়ক হবার জন্য ইতিহাস বিকৃতি এবং মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেই খলনায়কে পরিণত হন। আমাদের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে একরকম ভূতে পেয়েছিল। এজন্য তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বলেছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কারও একক নেতৃত্বে হয়নি। এবার ভূতে পেয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে।
বিবার্তা/ওরিন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]