শিরোনাম
রোহিঙ্গা সংকট
বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতের সমাবেশ
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৪১
বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতের সমাবেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ চলছে। সোমবার বেলা ১১টায় শুরু হয়েছে এ সমাবেশ।

 

সমাবেশে সকাল থেকে দলে দলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন। এ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নুর হোসেন কাসেমি।

 

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, আপনি দেখে যান মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) স্বাধীন করার জন্য লাখ লাখ মুসলমান প্রস্তুত। আর কোনো রোহিঙ্গার জীবন হুমকির মুখে পড়তে দেয়া হবে না। অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আমরা আরাকানে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। অস্ত্র দিন, নইলে কূটনীতিক পদ্ধতিতে মিয়ানমারকে নির্যাতন বন্ধে বাধ্য করুন।

 

তারা আরো বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তাদের দমন-নিপীড়নে অনেক মুসলমানের রক্ত ঝরেছে। অনেক নির্যাতন চলেছে। এত দিনের নির্যাতন নিপীড়ন আর সহ্য করা হবে না। এখন সময় এসেছে প্রতিবাদের। বাংলাদেশের প্রত্যেক মুফতি, ওলামা মাশায়েখ ঐক্যমতে পৌঁছেছেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে।

 

সমাবেশে উপস্থিত আছেন ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, হেফাজতের ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমীর হযরত মাওলানা মাহবুবুল হক, সহ-সভাপতি আহমদ আব্দুল কাদের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. ঈশা সাহিদি, হেফাজতের ইসলামের নেতা ও মিরপুর জামেয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আবু তাহের জিহাদি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জোনায়েদ আল হাবিব, ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান, আজিজুল হক, ও নুরুল ইসলাম জেহাদি প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ স্টেশন, সেনা ঘাঁটি ও সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এবং প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে চার লাখেরও বেশি।

 

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাবি, রাখাইনে সাধারণ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নয়, তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। তারা বলছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী যে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালিয়েছে, তার মূল লক্ষ্য ছিল গত ২৫ আগস্ট পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতাদের উৎখাত করা। তবে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সেখানে জাতিগত নিধন চলছে।

 

বিবার্তা/আছিয়া/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com