আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহের এই অভিযানকে আগামী নির্বাচনের জন্য ফলপ্রসু হিসেবে দেখছেন দলের বিভিন্ন শ্রেনীর নেতারা। চলতি বছর ২০ মে দলের বর্ধিত সভার মাধ্যমে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। চলমান কার্যক্রম দলের আগামী কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত চলবে।
গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনো সদস্যের নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই সময়ই দলীয় সদস্যপদটি নাবায়ন করেছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কদের।
আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ অভিযানে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রায় ২২ লাখ ফর্ম বিক্রি হয়েছে। তবে জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে গত আগস্ট মাসে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই আবারো এই অভিযানে গতি ফিরেছে। তবে এ বছরের সদস্য সংগ্রহের সঠিক পরিসংখ্যানটি আগামী ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিবার্তাকে বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মাসব্যাপী কর্মসূচি থাকার কারণে অভিযানে গতি কিছুটা নিন্মমূখী হয়। কিন্তু সেটা আবারো গতি ফিরে পেয়েছে। দলের আগামী জাতীয় কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে।
সদস্য সংগ্রহের সঠিক পরিসংখ্যানটা দলের পক্ষ থেকে কবে নাগাদ প্রকাশ হবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক্ষুনি আমরা এটা প্রকাশ করছি না। তবে আগামী ডিসেম্বরে দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের কারণে তৃণমূল শক্তিশালী হবে, যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। তবে সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে যাতে জামাত-বিএনপির অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। তবে চলমান সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমে এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে, নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিয়ে প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর দলের সদস্যপদ নবায়ন করতে হয়। আর নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানও সময়-সময় করা হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওইসময় এ কার্যক্রম বেশিদিন চলেনি।
বিবার্তা/ওরিন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]