
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, কিন্তু সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য সাধুবাদ জানানোন পাশাপাশি বিপ্লবে সম্পৃক্ত থেকেছে রাজনৈতিক দলগুলো। যেখানে বিএনপিসহ সবাই ১৫ বছর ধরে লড়াই করেছে।
খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে প্রেস কনফারেন্সে ভিশন ২০৩০ ঘোষণার মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেখানে ক্ষমতার ভারসম্য আনার কথা বলা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল তারেক রহমানের পক্ষ থেকে। সেখানেও এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না বলা হয়েছিল।
‘সুতরাং সংস্কার কোনো নতুন ধারণা না। কেউ যদি দাবি করে তারা এই ধারণা নিয়ে এসেছে তাহলে ভুল করবে,’ যোগ করেন ফখরুল।
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে না। দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারের কাছে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া যায় না। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। আল্লাহ চাহেতো আবারও বিএনপি ক্ষমতায় যাবে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কার করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু দেশের স্থিরতা নিয়ে যে সমস্য তৈরি হয়েছে, সে সমস্যা কেটে যাবে যদি নির্বাচন দেয়া হয়। বিএনপি সংস্কার চায়, কিন্তু এটাও চায় বেশিদিন অনির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা থাকা উচিত নয়।
সরকারের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে অনেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন। জনগণের সমস্য না খুঁজে অনেকে এখন রাজনৈতিক দলগুলোর দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যেন অস্থির না হই, আস্থা না হারাই সরকারের প্রতি। ড. ইউনূস সরকার অতি দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিবেন, সেটাই প্রত্যাশা।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]