'দেশে বর্তমানে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সবচেয়ে জরুরি'
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১০
'দেশে বর্তমানে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সবচেয়ে জরুরি'
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে সবচেয়ে জরুরি যে জিনিসটা প্রয়োজন তা হলো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং সে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা।


১৩ নভেম্বর, বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের পর কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।


মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ একটা কাজ খুব সফলভাবে করেছে। তা হলো আমাদের জাতিকে বিভক্ত করেছে। এই বিভক্ত দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। রাজনীতিক মতামত ভিন্ন থাকবে কিন্তু ঐক্য থাকবে মৌলিক কিছু বিষয়ে। যেমন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে, বাংলাদেশর মানুষের অধকারের বিষয়ে। এই বিষয়গুলোতে জাতিকে ঐক্যে থাকতে হবে। এই ঐক্য রাখার ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। এ আন্দোলনকে শেষ পর্যায়ে বেগমান করার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৬৩ টি রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন করেছি। বাম ডান মধ্যপন্থী সব দল
সেদিক থেকে বলবো গণঅভ্যত্থানে অনেকটা কাজ করেছে এবং চুড়ান্ত অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, এখন যেটা আমি মনে করি এবং এখন যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, আমাদের সহনশীল হতে হবে। ১৭ বছরের একটা জঞ্জাল, একটা গার্বেজ তৈরি করা হয়েছে, এটা সত্যি কথা বলতে ১৭ দিনেও সম্ভব না, ১৭ মাসেও সম্ভব না। তাদের সময় দিতে হবে। তাদের প্রধান যে দায়িত্ব আমরা বারবার করে বলছি, তাদের সব সংস্কার তাদের হাত দেয়ার আমরা মনে করি খুব বেশি প্রয়োজন নাই। নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট আসবে। সে পার্লামেনট সে কাজগুলো করবে। এই সরকারের দায়িত্ব হবে নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। সকলে যেন ভোট দিতে পারে। সকলে যেন অংশগ্রহণ করতে পারে। আর ভোটের যে সিস্টেম আওয়ামীলীগ করে গেছিলো সেগুলো নির্মূল করে। নিরপেক্ষ লোকজনকে নির্বাচন কমিশনে বসানো। বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা, এডমিনিস্ট্রেশন কে নিরপেক্ষ করা, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য এগুলোই হচ্ছে প্রধান কাজ।


নতুন উপদেষ্টা নিয়োগে আন্দোলনের ছাত্র-জনতা ও রাজনীতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় করা হয় কি না সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার এত বড় একটি দেশ পরিচালনা করার জন্য কাকে উপদেষ্টা নিয়োগ দেবে এটি নির্ভর করে প্রধান উপদেষ্টার উপর। এখানে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে বিষয়টি এমন নয়। তারা চাইলে করতেই পারে।


বিবার্তা/বিধান/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com