বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের দেশ : বাংলাদেশ ন্যাপ
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০৭
বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের দেশ : বাংলাদেশ ন্যাপ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

‘এদেশের জনগণ সকল সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, ‘মোরা একই বৃন্তে দু'টি কুসুম, হিন্দু মুসলমান’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই উক্তির বাস্তব চারণভূমি হলো আমাদের বাংলাদেশ। ন্যাপ'র প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বলতেন, ধর্ম যার যার কিন্তু, রাষ্ট্রটা সকলের। সকলকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের দেশ।’


৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাপ কোনোদিন ধর্মের ভিত্তিতে বা বিভাজনের রাজনীতি করে না। সকল ধর্মের, সকল জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিতে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। ন্যাপ তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই জালেমের বিরুদ্ধে, মজলুমের পক্ষে। সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। ’


তারা সারাদেশে সকল সনাতনীর পাশে থাকার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘সামনে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পতিত স্বৈরাচার, দেশবিরোধী শক্তি ও দুর্নীতিবাজ-লুটেরা গোষ্টি দেশকে অস্থিতিশীল করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে- যা দেশবাসী মানুষ কোনোভাবে মেনে নিবে না, নিতে পারে না। তাই শঙ্কামুক্ত, ভয়হীন ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’


নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শুধুমাত্র সংখ্যাগুরুরাই রক্ত দেয়নি; সংখ্যালঘুদের অনেকেই রক্ত দিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাই মিলে শত্রুর মোকাবেলা করেছে। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল। এর মাঝেও ‘মতলববাজ একটি কুচক্রিমহল দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুনাম-সুখ্যাতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল ও জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করে বিদেশী শক্তির আগ্রাসন সৃষ্টির গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে- যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ দেশের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রমূলক কূটচালের সাহস করতে না পারে।’


তারা বলেন, ‘দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরাই মাজার, দরগায় হামলা করছে। তারাই আবার দেশে বিভক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সনান ধর্মের দুর্গাপূজাকে ইস্যু করে নতুন ষড়যন্ত্র করছে। তাই সনাতনী ভাই-বোনসহ সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বহু মত ও পথের বাংলাদেশে ভাস্কর্য থাকবে। মন্দির-মসজিদ-গির্জা-প্যাগোডা থাকবে। মাজার থাকবে, বাউল-ফকিরসহ সমস্ত সংস্কৃতি থাকবে। এই দেশ সব ধর্মের, সব জাতির, সব মানুষের দেশ।’


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com