
কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ জুলাই, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে কোটা আন্দোলনকারীদের হামলায় সারাদেশে ছাত্রলীগের যে সকল নেতাকর্মী নিহত হয়েছে তাদের স্মরণে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা এমপি, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম।
সভায় জননেতা এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে আন্দোলনে প্রবেশ করেছে জামায়াত-বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির, ছাত্রদল। সাথে আছে যুবদলও। তাদের বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এসেছে। সারাদেশে আন্দোলনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও যুবদল নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যায়, তখনই যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, এদেশের মানুষের ভালো চায় না- তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
মেয়র বলেন, কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয়ে কথা বলা যায় না। আগামী ৮ আগস্ট নতুন তারিখ আছে। সেদিন পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কারা শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামালো? সাধারণ ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলনে নামিয়েছে ছাত্রশিবির-ছাত্রদল। তারা সারাদেশে ভাংচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বোমা বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ করেছে। গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই আক্রোশটি কার বিরুদ্ধে? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে? স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের বিরুদ্ধে? নাকি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে? এই আক্রোশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের বিরুদ্ধে, যারা স্বাধীনতা চায়নি, সেই জামায়াত-শিবির গোষ্ঠীর।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, মোখলেশুর রহমান কচি, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজসহ সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ।
বিবার্তা/রানা/রোমেল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]