আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এত তীব্রতা নিয়ে ও ভয়ানক রূপে এসেছিল যে এর পরবর্তী প্রভাব সামলে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা বসে নেই, দুর্যোগ পরবর্তী সকল ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা তৎপর আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে আজ আমরা রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে সাতক্ষীরায় এসেছি। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১ জুন, শনিবার ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জবাসীর মাঝে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণকালে আমিনুল ইসলাম আমিন বিবার্তাকে বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই আওয়ামী লীগ অসহায়, দুস্থ, দুর্গতের পাশে থাকে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মানবকল্যাণে, বাঙালির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তারই আদর্শকে ধারণ করে আমরাও সকল দুর্যোগে যথাসম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়াই।

তিনি আরো বলেন, রেমাল আঘাত আনার সময় থেকেই দুর্গতদের পাশে আছে আমাদের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এবার জননেত্রীর নির্দেশে এই দুর্গত এলাকায় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও আমরা দুর্গতদের পাশে থাকবো।

এসময় মোট ১২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে, বিপদে-আপদে আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিল, মানুষের পাশে থাকে। তাই ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর এবারও মানবতার মুক্তির দূত, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্গত মানুষের পাশে ছুটে এসেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে আছি, থাকবো।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন, ফিরোজ আহমেদ স্বপন এমপি প্রমুখ।

বিবার্তা/এসবি/এমজে