শিরোনাম
গণহত্যা দিবসে বিএনপি নিশ্চুপ কেন : আ.লীগ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৭, ২০:৫৫
গণহত্যা দিবসে বিএনপি নিশ্চুপ কেন : আ.লীগ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতীয় গণহত্যা দিবসে বিএনপি ও দলটির নেতা খালেদা জিয়া নিশ্চুপ কেন জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা জাতীয় গণহত্যা দিবস বিষয়ে বিএনপিকে অবস্থান পরিস্কার করারও আহ্বান জানিয়েছেন।


শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাঙলা কলেজে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় গণহত্যা দিবসের কর্মসূচিতে কথা বলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে আশাবাদ করেন।


জাতীয় গণহত্যা দিবসে ঢাকা মহানগর উত্তরের জনসভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হন। দুপুরের পর থেকে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আসতে থাকেন। পুরো মাঠ কানায় পূর্ণ হওয়ার পর রাস্তায় শত শত নেতাকর্মীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।


বিশ্বের বিভিন্ন গণহত্যার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭১ এর গণহত্যা যেকোনো গণহত্যার চেয়ে ভয়াবহ ছিলো। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বিএনপি-খালেদা জিয়া রহস্যজনকভাবে নিরব কেন? এই গণহত্যা দিবস সর্ম্পকে বিএনপি, খালেদা জিয়ার পরিস্কার অবস্থান জানতে চাই। তারা কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না বিপক্ষে স্পষ্ট করুক।


এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।


সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, অপারেশন সার্চ লাইট নামে ২৫ মার্চ তারা গণহত্যা শুরু করেছিলো। দীর্ঘ নয় মাস তারা গণহত্যা চালিয়েছে। গণহত্যা বিষয়ে বিএনপির কাছে জবাব চাওয়ার কিছু নাই।


তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াত নেতা নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের সঙ্গে জোট করে তার জবাব দিয়ে দিয়েছে, তার অবস্থান পরিস্কার করেছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে, শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে জবাব দিয়েছে তারা কোন পক্ষের।


বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ৭১ গণহত্যাকে সেদিন সারা বিশ্বের বিবেক নাড়া দিয়েছিলো। তারা বলেছিলো স্টপ জেনোসাইড। আজ আবার বিশ্ব নেতাদের সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে এ দিবসের আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি চাই।


৭১ এর গণহত্যা এবং পাক হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বর্বরতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, তাদের নীতি ছিলো মানুষ চাই না। মাটি চাই। একই সাথে একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন ওঠানোয় তার কঠোর সমালোচনা করেন মতিয়া চৌধুরী।


জাতীয় গণহত্যা দিবসে বিএনপি নিশ্চুপ কেন? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিএনপি, খালেদা জিয়া, বিএনপি মহাসচিব জবাব চাই।


খালেদা জিয়া, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের কথা উল্লেখ করে যারা ৭১ এর শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সবার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এদের ঘৃণা করি।


পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগীদের বিচারের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বিতরণ করার দাবি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য ফারুক খান।


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে ছিলো। এজন্য পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যায় সে অন্যতম নায়ক ছিলো।


তিনি বলেন, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কটাক্ক করলে বাংলার মানুষ তার দাঁত ভাঙা জবাব দিবে।


ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য আখতারুজ্জামান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, আসলামুল হক, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।


বিবার্তা/ওরিন/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com