শিরোনাম
জঙ্গিবাদে প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ২১:৫০
জঙ্গিবাদে প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, আমরা কোনোভাবেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবো না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কোনো রকম জঙ্গিবাদ এই বাংলার মাটিতে সহ্য করা হবে না। যারা এর পক্ষ নেবে, মদদ দেবে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিচারের মুখোমুখি করা হবে।


বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


দলের জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত নতুন নেতৃত্ব সরকার গৃহীত উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিকে এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগই পারবে এদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে। দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন- সবকিছুই আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের এতো উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।


বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা আখ্যা দিয়ে তিনি আরো বলেন, যারা ঘৃণ্য অপরাধী যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেবে, প্রশ্রয় দেবে তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ। তাদের বিচারও ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতেই হবে। অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয়াও অপরাধ। এটিও আমাদের মনে রাখতে হবে।


২২-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মেলনকে ঘিরে সারাদেশে অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছে। দেশের মানুষ জানে, একমাত্র আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়া। এর বাস্তবায়ন আওয়ামী লীগেরই দায়িত্ব।


এ প্রসঙ্গে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে দলটির অনন্য সাধারণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।


একই সঙ্গে দলকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দলই দেশের স্বাধীনতা এনেছে। আমরা মানুষের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে কাজ করি। এই চিন্তা-চেতনা নিয়েই দলকে শক্তিশালী করতে হবে।


জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রে কিছু সংশোধনী আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি ঘোষণাপত্র আছে, অর্থনৈতিক নীতিমালা রয়েছে। এই ঘোষণাপত্র ও নীতিমালার আলোকেই আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি হবে। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা নির্বাচনী ইশতেহার দিলে তা ভুলে যায় না, বাস্তবায়ন করে। এর মধ্য দিয়ে আমরা কতটুকু করতে পেরেছি, ভবিষ্যতে কতটুকু করতে পারবো- সেটিও দেশের বাজেটে প্রতিফলিত হয়।


২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, হত্যা-খুন ও সন্ত্রাস করে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে, দুর্নীতি ও লুটপাট করে। এই নানা ধরনের অপকর্মই তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে করেছে। তারা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।


তিনি বলেন, এদেশে হত্যা-ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি হয়েছে। মানুষ শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত হয়েছে। সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে সব মানুষ অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও অত্যাচার-নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। তবে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।


২২-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় দলের জাতীয় সম্মেলনের আগে এটিই ছিল কার্যনির্বাহী সংসদের শেষ বৈঠক, যা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২৩ অক্টোবর কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত মূলতবি করা হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে এই সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ গঠন করা হবে।


বিবার্তা/আমিন/রয়েল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com