যুবলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি
আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করি : আমিন
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬
আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করি : আমিন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দেশব্যাপী অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ১৩ জানুয়ারি, দুপুর ২:৩০ মিনিটে বনানী মডেল স্কুল মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। কর্মসূচির উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান- শেখ ফজলে শামস্ পরশ। এসময় আটশত অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন- আমরা কথায় বিশ্বাস করি না; আমরা কাজে বিশ্বাস করি। কাজে বিশ্বাস করি বলেই আমাদের যুবলীগের নেতা-কর্মীরা, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা করোনার সময় সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজেদের জীবন বাজি রেখে তাদের সর্বস্ব দিয়ে এদেশের মানুষকে সহায়তা করেছিল। তিনি আরও বলেন- যারা বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, মানুষের দুর্দিনে তারা পাশে থাকে না। তারাও একদিন বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে।


আমিন বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যেখানে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ শীতবস্ত্র বিতরণ বা ত্রাণ দেওয়ার লোক পাবে না। প্রতিটি মানুষ শিক্ষা-দীক্ষায় স্বয়ংসম্পন্ন হবে। কোন শিক্ষিত মানুষ বেকার থাকবে না, অলস বসে থাকবে না, মানুষ কাজ করে খাবে, সবারই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।


উদ্বোধক ও সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গণমানুষের সংগঠন। আমাদের রাজনীতি আপনাদের জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শুধু ভোটের সময় আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসে না, ভোটের পরেও আমরা আপনাদের কাছে ছুটে আসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনাদেরকে কেন্দ্র করে। আপনাদের মৌলিক চাহিদা- অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য রক্ষা আমাদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যে, আপনাদেরকে আর কোনোদিন ভাত-কাপড়ে কষ্ট করতে হবে না। তবে আমরা বুঝি, আপনাদের কিছু কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দ্রব্যের দাম বেড়েছে। সারা বিশ্বেই বেড়ে গেছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। সেই উদ্দেশ্যে আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সর্বপ্রথম দ্রব্যমূল্য কমানোর অঙ্গীকার করা হয়েছে। জনগণের কল্যাণে গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবনায় সাধারণ জনগণই সর্বদা প্রাধান্য পায়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখেছি, এদেশে যখনই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশি।


তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে কিছু বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব- ১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা ৩. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের জীবনমান উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের একটু ধৈর্য ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যার উপর আস্থা রাখতে হবে। তিনি বলেন- আপনারা যদি ঠিক ১৫ বছর আগের চিত্রে ফিরে যান, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, কি দুরবস্থা ছিল আমাদের সামগ্রিক জীবনে। ভাত-কাপড়ের সমস্যাতেই সাধারণ মানুষ জর্জরিত থাকত। গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সারের জন্য মানুষের উপর গুলি চালানো হয়েছিল- বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি লেগেই ছিল। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা ছিল না, ছিল না মানুষের অধিকার। আসলে বিএনপি-জামাত সরকার ছিল সমাজের উচ্চ শ্রেণি দ্বারা লালিত, উচ্চ শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার সরকার। গরিব-দুঃখী মানুষ নিয়ে তাদের কোনদিনই কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। তারা রাজনীতি করে নিজেদের শ্রেণি স্বার্থ হাসিল করার জন্য, আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে আপনাদের মঙ্গলের জন্য, কর্মজীবী খেটে-খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। বিএনপি জানে, তাদের জন্য মানুষের শুধুমাত্র ঘৃণাই রয়েছে; মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে। কারণ তারা জানে, এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনদিনও ভোট দিবে না। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে যেতে ভয় পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. হাবিবুর রহমান পবন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com