রাজনীতি
নির্বাচনে ভোট দেয়া মানে দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়া: ইসলামী আন্দোলন
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৫
নির্বাচনে ভোট দেয়া মানে দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়া: ইসলামী আন্দোলন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর চরমোনাই) বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচন আমার আপনার ভোট জালিয়াতি এই নির্মতাসীনদের সীমাহীন লুটতরাজ, জুলুম, খুন, গুম ও অনিয়ম জারি রাখার নির্বাচন। ফলে এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার মানে এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের সকল অন্যায়, জুলুম ও দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়া। যা কোন ভাবেই জায়েজ নয়।


বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে দলটির পল্টনস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ দলদাস নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নির্লজ্জ ও শঠতাপূর্ণ নির্বাচন কেউ কখনো দেখেছে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালে করলো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন, ১৮ সালে করলো রাতের ভোট আর ২৪ সালে এসে করছে ডামি নির্বাচন। নিজ দলের একাধিক প্রার্থী বিভিন্ন নামে দাঁড় করানো, জেল থেকে মুক্তি দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে দাঁড় করানো, কিংস পার্টি গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর অপচেষ্টা করার মতো এই সরকার যা করছে, তাতে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম নির্বাচনের উদাহারণ হয়ে থাকবে এই নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কতবড় নোংরামী হয়েছে তার উদাহারণ হয়ে থাকবে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেয়ার শর্তে কারাগারে থাকা সকল বিরোধী নেতাকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, কারাগারে থাকা না থাকার মতো যে বিষয় আদালতের ওপরে নির্ভরশীল তাও এখন এই সরকার কুক্ষিগত করে নিয়েছে।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, যাদের মধ্যে হালপ্রেম আছে, যারা দুর্নীতি, জুলুম-লুটতরাজকে ঘৃণা করেন, যারা মানুষের অধিকারকে সম্মান করেন তারা মঞ্চে ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। যারা আল্লাহকে ভয় করেন, যারা মজলুমের বদদোয়াকে ভয় করেন, তারা কোন ভোট দেবেন না। যারা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেন, যারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের সম্মান করেন তারা কেউ ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।


নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলবো, আপনারা কেউ এই দেশ বিরোধী অবৈধ নির্বাচনে জালিমদের সহযোগীতা করবেন না। প্রশাসনের কর্মচারী-কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলবো, আপনারা জনগণের বিপক্ষে গিয়ে সরকারের কোন অবৈধ হুকুম তামিল করবেন না। আপনারা কেউ প্রহসনের নির্বাচনে সহযোগীতা করবেন না।


এই জনবিরোধী প্রহসনের নির্বাচনে যারা সহযোগীতা করবে, জনগণ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবে না।


বর্তমান দলকানা তাবেদার নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যদি নিজেদের ভালো চান এবং দেশের মঙ্গল চান তাহলে এখনো সময় আছে, নির্বাচনি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে পদত্যাগ করে চলে যান। জনগণ আপনাদের নাটক আর দেখতে চায় না।


সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ৭ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করতে হবে, বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে, নিবন্ধিত এবং আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে, জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দিতে হবে এবং জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করবে এবং রাজনৈতিক কারণে বিরোধীদলের কারাবন্দী সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দিতে হবে।


বিবার্তা/রুবেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com