আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে : ফখরুল
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ১৪:০২
আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে : ফখরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। আমাদের দাবি তাদের (সরকার) পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এই অবস্থান থেকে এক মুহূর্তের জন্য আমরা সরে দাঁড়াবো না।


৩০ মে, মঙ্গলবার রাজধানী শেরেবাংলা নগর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থার যাতাকলের মধ্যে পড়েছে। যখন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যখন মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হয়েছে, যারা জোর করে দানবীর ও সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এমন সময় সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণকারী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে জনগণ আন্দোলন শুরু করেছে। সেই সময়ে আজকে এই নেতার শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা আজকের সমগ্র জাতির কাছে প্রাসঙ্গিক।


তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সমগ্র জাতি যখন অসহায় হয়ে পড়েছিল, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন ব্যর্থ হয়েছিল তখন এই মহান নেতা তার দূরদৃষ্টি দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে পটপরিবর্তনের ফলে যখন জাতি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল আবার যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছিল সেই সময় এই নেতা আবার আবির্ভূত হয়েছিলেন। সমগ্র সেনাবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন; নতুন করে বাংলাদেশকে নির্মাণ করার স্বপ্ন নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পাওয়ার পরে বাংলাদেশকে অল্প সময়ের মধ্যে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধির ভিত্তি শুরু করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে আজকে বাংলাদেশ ৫২ বছর পরেও একটি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।


ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী আমাদেরকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা আজকে নতুন করে শপথ নিয়েছি। যে কোন মূল্যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশের সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই হচ্ছে আজকের শপথ।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছর এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর সাজা বহাল রেখেছে আদালত। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলাগুলোর রায় থেকে বুঝা যায় সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে দখল করে নিয়েছে। ফরমায়েসী রায় দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা একই কাজ করছে।


এ মামলার রায়ের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি এটা একটা ফরমায়েশি রায়। এ ধরনের রায় দিয়ে কোন আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আদায় করবে।


এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান সহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/ইলিয়াস/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com