আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ দশ বছরে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হতো। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের পথে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে 'উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণ আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। করোনাকালে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছেন। করোনাকালে পৃথিবীতে মাত্র ২০টি দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
করোনা মহামারিতে একজন লোকও না খেয়ে মারা যায়নি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকে আছে যারা রাস্তার ভিখারীদের দুই টাকা দেয় না, আবার অনেক এনজিও আছে তাদেরকেও করোনাকালে দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মানুষের পাশে ছিলেন। মানুষকে গণটিকা দিয়ে সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। অনেকে অনেক শঙ্কার কথা বলেছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন যে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর উপহার দেয়া হবে। এর আগে কেউ কখনো যা ভাবেনি। করোনার মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু অর্থনৈতিক নয় আমরা সমস্ত ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। সামাজিক, অর্থনৈতিক সূচকে আমরা ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। এমনকি করোনার মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়েছে। স্বপ্ন নয়, এগুলোই এখন বাস্তব।
প্রগতিশীল সাংবাদিক মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
আলোচনা সভার মুখ্য আলোচক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই বাংলাদেশ আছে। তিনি বেঁচে না থাকলে বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যেতো। জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি জারি করে বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনেছেন। নেতৃত্বের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে 'ক্রাউন জুয়েল' উপাধির মতো বিরল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এর আগে কাউকে জাতিসংঘ এ সম্মানে ভূষিত করেছে জানা নেই।
ড. ইউনুস একজন পাপী লোক উল্লেখ করে মানিক বলেন, দুর্নীতিবাজরা মিলে চক্রান্ত করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে পদ্মা সেতু করেছেন, কর্ণফুলীতে টানেল করছেন। ওষুধ, জাহাজ রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো সক্রিয়। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
এছাড়া আলোচনা সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পিআইবি চেয়ারম্যান ও ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চেীধুরী, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক সুভাষ চন্দ্র বাদল ও মুন্নী সাহা অনেকে।
বিবার্তা/সোহেল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]