শিরোনাম
স্বাধীনতার ৫০ পরও মা-বোনরা নিরাপদ নয়: ফখরুল
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২১, ১৯:১৯
স্বাধীনতার ৫০ পরও মা-বোনরা নিরাপদ নয়: ফখরুল
ফাইল ছবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা আমাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন, আমাদের ছাত্রনেতা, লেখক, সাংবাদিকদের ওপর নির্মম নির্যাতন চলছে। আজকে দুর্ভাগ্য এই জাতির, ৫০ বছর পরেও আমরা বলতে পারি না যে, আমরা স্বাধীন। মা-বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারেন না। তারাও বলতে পারেন না যে, তারা স্বাধীন।


সোমবার (৮ মার্চ) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র‌্যালি পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


সংক্ষিপ্ত সভা শেষে মহিলা দলের উদ্যাগে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি বিএনপির কার্যালয় থেকে কাকরাইল মোড় হয়ে কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।


র‌্যালিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে মহিলা দলের নেত্রীরা অংশ নেন। এসময় তারা জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করোসহ বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন।


মহিলা দলের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিএনপির কার্যালয়সহ আশ-পাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তার পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থায় সদস্যদেরকেও মোতায়েন করা হয়।


ফখরুল তার বক্তব্যে বলেন, আজকে নারীরা বন্দি। শুধুমাত্র নারীরা নয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। গোটা দেশের মানুষ আজ বন্দি। তারা তাদের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।


তিনি বলেন, এই সরকার সকলের স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছে। বাক-স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে হরণ করে নিয়েছে। সুতরাং তখনই নারীদের অধিকার আদায় হবে, তখনই নারীদের অধিকারগুলো সংরক্ষিত করা যাবে যখন সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।


আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে স্মরণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ দিনে স্মরণ করতে চাই, বেগম রোকেয়াকে। যিনি এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশে নারীদের উন্নয়নের জন্য, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য প্রকৃত ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপরই যে মহিলাকে সবেচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা জানাতে চাই, তিনি বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় কাজটি করেছিলেন। মেয়েদের বিনা বেতনে গ্রাজুয়েটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এটা খালেদা জিয়ার একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র পৃথিবীতে নারীদের যে অধিকার, সেই অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য এবং সেই অধিকারগুলোকে সুসংগঠিত করবার জন্য সকল মানুষই সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করে। যারা দেশ পরিচালনা করছেন, তাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, এখানে যারা নারীদের অধিকারের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয়।


পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে আলোতে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।


মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com