শিরোনাম
আমরা মানচিত্র-পতাকা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি: লেবার পার্টি
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:১২
আমরা মানচিত্র-পতাকা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি: লেবার পার্টি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে শুধুমাত্র আমরা একটি মানচিত্র পতাকা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি। তিনি বলেন, আমাদের সাথে মানচিত্র, পতাকা রয়েছে সার্বভৌমত্ব অধিকার আমরা তেমন ভাবে পাই নাই। কারণ আপনারা দেখতে পাবেন সীমান্ত এলাকায় এখনো পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত প্রহরীরা বাংলাদেশের জনগণকে নির্বিচারে গুলি করে মারছে।


শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলা‌দেশ সাম্যবাদী দল (মাঃ-‌লেঃ) এর কেন্দ্রীয় কার্য‌্যালয়ে কমরেড মো. তোহার ৩৩তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে স্বরণ সভায় তি‌নি এসব কথা বলেন।


ডা. ইরান বলেন, ২০০৯ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমরা ভেবেছিলাম পরবর্তী নির্বাচন হয়তো গণতন্ত্র পন্থায় হবে। কিন্তু সে নির্বাচনে পুরোপুরি গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।বর্তমান দেশের জনগণের একটাই দাবি আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থে‌কে মুক্তি চাই।


তিনি বলেন, এদেশের জনগণের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার জনগণ পাচ্ছেন না। তাই যে কোনো মূল্যে সেই মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই মৌলিক অধিকারের জন্যই ১৯৭১ সালে আমাদের পূর্বপুরুষরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু দেশের জনগণ সেই মৌলিক অধিকার এখন আর পাচ্ছে না। বাংলা‌দেশ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে রক্ষা পেলেও এখনো দিল্লি হাত থেকে রক্ষা পায়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশকে একটি রাজ্য হিসেবে ভারত তার শোষণ ও বঞ্চনার ভিতরে রেখেছে। বাংলাদেশ একটি তাবেদার মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বসিয়ে।


তিনি বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ কে ভারত বলেছিল আপনি যদি নির্বাচনে না আসেন তাহলে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসবে। আমার প্রশ্ন হল একটি দেশ আর একটি স্বাধীন দেশের উপর কিভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে।এইজন্য আমি মনে করি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ নয়। যদি স্বাধীন হত তাহলে যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা হত। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতো। কিন্তু আজ দেশের জনগণ স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারেনা। এ সময় ২০ দলীয় জোটের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। ২০ দলকে আরও ঐক‌্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আন্দোলনে নামতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।


স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পলিটব্যুরোর সদস্য কাজী মোস্তফা কামাল, সুভাষ ভট্টাচার্য, গাজী রুহুল আমিন, লেবার পার্টির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আবদুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।


বিবার্তা/বিপ্লব/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com