
জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, করোনা মহামারীর প্রভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও বেকারত্ব ব্যাপক হারে বৃদ্ধির কারণে জনজীবন যেখানে বিপর্যস্ত ঠিক তখনি আমরা দেখতে পাই গত ৩০ তারিখে প্রকাশিত ৪২ ও ৪৩ তম বিএসএসে আবেদন ফি নির্ধারিত হয়েছে ৭০০ (সাত শত) টাকা। এটা সত্যিই আমাদের জন্য অসহনীয় একটি বিষয়।
বুধবার জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সারা বিশ্বে কর্মসংস্থানহীন বেকারদের খারাপ অবস্থা বিবেচনা করে বেকার ভাতা প্রদান করা হয়। আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো, বেকারদের কাছ থেকে চাকরির আবেদন ফি এর নামে রাজস্ব আয়ের অপচেষ্টা মাত্র। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে এবং আগের শূন্য পদ গুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য আলাদা বরাদ্দ/বাজেট রাখার জন্য জাতীয় ছাত্র সমাজ আহবান করছে।
সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডের চাকরি প্রার্থীদের আবেদন ফি অনধিক ১০০ (একশত) টাকা নির্ধারণ করা না হলে দেশের বৃহৎ বেকার জনগোষ্ঠিকে সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে। বিশ্বের আর কোথাও কোনো দেশেই চাকরিতে আবেদনের অসহনীয় ফি নেয়া হয়না। বরং উন্নত দেশগুলোতে বেকার ভাতা প্রদান করা হয়।
যেসব চাকরিতে আবেদন ফি ৩০০ টাকা, সেখানে আবেদন, আবেদনপত্র পাঠানোসহ আনুষঙ্গিক কাজে কম করে হলেও ৫০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। আর ৫০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট হলে সব মিলিয়ে লেগে যায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের চাকরির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে চাকরির ফি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিঃ সহ-সভাপতি শাহ ইমরান রিপন, সহ-সভাপতি মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, শাহরিয়ার রাসেল, দফতর সম্পাদক রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, এনজিও বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা সুমন ও কেন্দ্রীয় সদস্য সামিউল সোহাগ।
বিবার্তা/বিপ্লব/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
ময়মনসিংহ রোড, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]