ভাষকর্য বিরোধী ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের কঠোর হস্তে দমন এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সাবেক ছাত্র নেতারা।
রবিবার ৯টি প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের ১৬ জন সাবেক ছাত্রনেতা এক যৌথ বিবৃতিত এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ মুখচোনা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ভাষকর্য বিরোধী ধর্মীয় উস্কানী ও উম্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেশ কিছুদিন ধরে ভাষকর্য নিয়ে এক ধরনের ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির পায়তাড়া করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ভাষকর্য শিল্পকর্ম- এটা জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতীয় বীর, নেতা, শিল্পী, সাহিত্যিক, প্রাণী, ফল, ফুল যে কোনো বিষয়েই নির্মিত হতে পারে। এটা নিয়ে অহেতুক বির্তকের কোনো সুযোগ নেই। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সকল ভাষকর্য ভেঙে ফেলার ঘোষাণার মাধ্যমে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘শহীদ মিনার’এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ও মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের স্মরণে নির্মিত ভাষকর্য ভেঙে ফেলার উসকানী দিচ্ছে এবং বাঙালি রাষ্ট্র ও অসাম্প্রদায়িক সমাজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধের উম্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অর্জনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমরা দেশের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক প্রগতীশীল সকল শক্তিকে একতাবদ্ধ হয়ে ভাষকর্য বিরোধী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের এক চুলও ছাড় না দিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাই।
নেতৃবৃন্দ, ভাষকর্য বিরোধী অন্ধকারের অপশক্তি ধর্মীয় উন্মাদনা ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
বিবৃতি দাতা ছাত্রনেতৃবৃন্দ হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবু নাসের অনিক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ছাত্র লীগ (জাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্র জোটের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ খান, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান সমুদ্র, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শুভাশিস সমাদ্দার শুভ ও বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]