শিরোনাম
ঢাকা-১৮ উপ-নির্বাচন
জনগণের আস্থা হারিয়ে গণসংযোগে বাধা দিচ্ছে আ'লীগ: জাহাঙ্গীর
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৩৫
জনগণের আস্থা হারিয়ে গণসংযোগে বাধা দিচ্ছে আ'লীগ: জাহাঙ্গীর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জনগণের আস্থা হারিয়ে দিনের ভোট রাতে করা জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত ধানের শীষের গণসংযোগে বাধা দিচ্ছেন বলে আবারো অভিযোগ করলেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতই বাধা আসুক আগামী ১২ নভেম্বর ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভোট কেন্দ্রে থাকবো। বিজয়ই নিয়েই ঘরে ফিরবো।


আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১০ টায় বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর কেন্দ্রীয় ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে পায় হেঁটে খিলক্ষেত থানার কুড়াতলি এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সাথে নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। পথে পথে দলে দলে নেতাকর্মীরা এ গণসংযোগে যোগ দিতে দেখা যায়। এরপর কুড়িল, বিশ্ব রোড,জোয়ার সাহারা,বসুন্ধরা গেইট হয়ে জগ্ননাথপুরে যখন গণসংযোগের সমাপ্তি টেনে এক পথসভায় জাহাঙ্গীর বলেন, ধানের শীষের গণসংযোগে হাজারো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে দেশের মানুষ তথা ঢাকা-১৮ আসনের মানুষ খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছেন।


বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমর্থকদের অংশগ্রহনে গণসংযোগ এক বিশাল সমাবেশ রূপ নেয়। বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে এ সমাবেশ যাচ্ছিল হাজারো মানুষ সড়কের দু'ধারে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সমর্থনও জানাচ্ছিল। বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকেও নারাী-পুরুষ হাত নেড়ে ধানের শীষের এ গণসংযোগকে সমর্থণ জানায়। কেউ কেউ মিছিলের সাথে সাথে শ্লোগাণও দেন। বিনয়ের সাথে হাত নেড়ে এসব মানুষদের সমর্থনের জাবাবও দেন জাহাঙ্গীর। গণসংযোগকালে জাহাঙ্গীর ধানের শীষের মার্কা দেখিয়ে নানা বয়সী নারী-পুরুষে ভোট প্রার্থণা করেন। এ সময় জাহাঙ্গীরকে মুরব্বীরা মাথা হাতবুলিয়ে দোয়া করে দেন।


এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, মহানগর বিএনপি নেতা কাজী হযরত আলী, ছাত্রদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফকরুউদ্দিন রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজাউল হক রিয়াজসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।


এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, গত ১২ বছর ধরে জনগণ ভোট দিতে পারছেন না। এটা আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। আমাদের নেত্রী বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যে আমরা জীবন দিয়েছি, তেমনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রয়োজনের আবারো জীবন দিব। তারপরও গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবোই আনবো ইনশাহ আলাহ।


দেশে দুর্নীতি, দুঃশাসন, চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বালিশ কেলেঙ্কারী, পর্দা কেলেঙ্কারী এ সব দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। আওয়ামী লীগের ফরিপুরের দুই নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তা মানুষ ভুলে যায়নি। মা-বোনদের ইজ্জত লুটে নিচ্ছে, তারা হুমকির সম্মুখিন তা মানুষ ভুলে যায়নি। আমাদের বহু ভাই গুম হয়েছেন তা কী আপনারা ভুলে গেছেন? গায়েবি মামলা, আমাদের উপর যে নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে তা ভুলে গেছেন?


আমরা চাকরি করতাম, ব্যবসা করতাম এখন তা পারি না-এসব কী আমরা ভুলে গেছি? ঘরে থাকতে পারি না, সন্তানের মুখ দেখ পারি না-এসব আমরা যদি ভুলে না যাই তাহলে এর প্রতিবাদ আমরা করবো। আমরা আর কিছুকে ভয় করবো না। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো,আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবো।


আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিব হাসানের উদ্দেশ্যে ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা যেখানে গণসংযোগের জন্য কর্মসূচি দেই, আপনারা সেখানে পাল্টা কর্মসূচি দেন। আপনাদেরও জনগণের উপর আস্থা নেই কেন, ভয় পান কেন? আপনারা জনগণের জন্য কাজ করেন না, জনগণের ভোট আপনাদের দরকার নেই। আপনারা (আওয়ামী লীগ) এ পর্যন্ত যতবার নির্বাচিত হয়েছেন রাতের আধাঁরে ভোটবিহনীন নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণ ভোট দিতে পারে না। এ কারণে আপনারা সন্ত্রাস করছেন। বুঝাতে চাচ্ছেন, জনগণের ভোট আপনাদের দরকার নেই।


প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বিএনপি প্রার্থী বলেন, আপনাদের কাছ থেকে পূর্ব অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি নির্ধারণ করি। কিন্তু আমরা যখন কর্মসূচি করতে যাই তখন বলেন আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিয়েছে। দেশটা কিন্তু মগের মুল্লুক না। আমরা প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে চাই, আপনারা সবাইকে সমান সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন। আগে যাদের অনুমতি দিবেন তাদের কর্মসূচি করতে দেবেন-এটা আপনাদের দায়িত্ব। যদি অনুমতি দেয়ার পর কর্মসূচি করতে না দেন, তাহলে ভবিষ্যতে কর্মসূচি করার আগে আর কোনো অনুমতি নেয়া হবে না। আন্দোলন করতে অনুমতি লাগে না।


বিবার্তা/জাহিদ/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com