শিরোনাম
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ডেঞ্জার জোন: রিজভী
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪১
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ডেঞ্জার জোন: রিজভী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ যেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অফিস রয়েছে সেখানে ডেঞ্জার জোনে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগের অফিসের কাছে কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছে অভিভাবকরা। বিশেষ করে মেয়েদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়, কালেজগুলো এখন ছাত্রলীগের জন্য ডেঞ্জার জোন।


বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।


সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও জিয়াউর রহমান পরিবারের সদস্যদের ব্যঙ্গ করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট কাহিনী নির্ভর কুরুচিপূর্ণ প্রচারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের যত রাগ, যত ক্ষোভ সব জিয়াউর রহমানের প্রতি, বেগম খালেদার প্রতি। আর এ রাগ কি জন্য জানেন আপনারা? উনার পিতা যে কাজটি করতে পারেনি, সে কাজটি করেছেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন। তারা এটি অর্জন করতে পারেনি। তাই তাদের ক্ষোভ, কেনো জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করলো? এটা পাকিস্তান থাকতো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হত আমার বাবা। কেনো তিনি ঘোষণা দিলেন? কেনো তিনি যুদ্ধ করলেন?জিয়াউর রহমান নাকি পাকিস্তানের চর। যে লোক পাকিস্তানের কমান্ডারকে হত্যা করে যুদ্ধে সুচনা করলেন। আর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাছে বন্দি হয়ে তিনি নয় মাস থাকলেন তিনি নন্দিত। আর জিয়া নিন্দিত। তিনি (জিয়া) যদি বাকশাল চালু রাখতেন তাহলে কোন অসুবিধা ছিল না, উনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেন দিলেন?


বিএনপি এ নেতা বলেন, এখন শুধুই গুণগান শেখ হাসিনার শেখ পরিবারের। তারাই নাকি সবকিছু করেছে। তারা নাকি বাংলাদেশে এর মালিক। বিএনপির সোচ্চার কণ্ঠ এর প্রতিবাদ করে। বিএনপি যখন তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, যখন গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদ করে, তখন তারা প্রতিহিংসায় সমালোচনায় লিপ্ত থাকে।


তাদের কিছু বুদ্ধিজীবী আছে, সাংস্কৃতিকজীবী। তাদের দিয়ে একটা বস্তা পচা নাটক বানিয়েছে, নাটক জনগণ বিশ্বাস করে না। যারা অপপ্রচার করে মিথ্যা কথা বলে, তারা কোন দিন টিকে থাকে না। সত্যের জয় অবধারিত।


সিলেটের এমসি কলের ন্যক্কারজণক ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিলেট এমসি কলেজের ঘটনার পর শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার আর কোনো বৈধতা আছে? না, নাই। আপনার মন্ত্রিরা আপনার জন্মদিন পালন করে। আপনার লজ্জা লাগে না? এমসি কলেজের দিকে তাকান, পাহাড়িদের দিকে তাকান। এইগুলা ঢাকার জন্য কিছু সাংস্কৃতিককর্মী দিয়ে নাটক রচনা করেছেন। এই নাটক মানুষ দুই পা দিয়ে দলবে। সাধারণ মানুষ এই নাটকের বই নিয়ে এসে দুই পা দিয়ে দোলোন করবে।


বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আজ বিরোধী দলের উপর অত্যাচার করেন, যারা ভিন্নমত পোষণ করেন তাদেরকে অত্যাচার করেন। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে মনে করেছেন মানুষ ভুলে যাবে। আপনার অত্যাচার, অবিচার, গুম-খুন চালিয়েছেন ১০ বছর। আপনি জানে না প্রত্যেকটি ঘটনা জনগণের মনে সব লেখা আছে। এই লেখা আপনি নির্যাতন করে, অত্যাচার করে মুছতে পারবেন না। আগে মুছতে পারেননি। প্রত্যেকটি কথা আমরা রেজিস্ট্রিশন করে রেখেছি। জনগণ রেজিষ্ট্রেশন করে রেখেছে।


তিনি বলেন, আপনি জিয়াউর রহমানকে বলেন পাকিস্তানের চর, আরে পাকিস্তানের চর আপনারা, দালাল আপনারা। আপনারা তৈরি হয়েছেন বিদেশী গোয়েন্দা ল্যাবরেটরীতে। এজন্য তাদের স্বার্থ ছাড়া দেশে ছাত্র আপনারা দেখেন না।


বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নাকি রাজনীতির হাটে কেনাবেচা করে। একবার নিজের দিকে তাকান, আব্দুল মুহিত কে ছিল? এরশাদের উপদেষ্টা, তাকে আপনারা মন্ত্রী বানিয়েছেন। এআর খন্দকার সাহেব তিনিও এরশাদের মন্ত্রী ছিলেন, তাকেও আপনারা মন্ত্রী বানিয়েছেন। রাজনীতির হাটে কে কেনাবেচা করে নিজেদের দিকে একবার তাকান।


ছাত্রলীগ-যুবলীগ যা ইচ্ছা তাই করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ গতকাল, গত পরশু দিন ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ধানের শীষ প্রার্থীর মিছিলে হামলা করেছে। অতিতে প্রমাণ হয়েছে আবারো প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে সেটা লাঠিপেটার গণতন্ত্র। তারা লাঠিপেটার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে বলেই আজকে নির্বাচনী প্রচারণায় বলুন, মিছিলে বলুন বা গণতান্ত্রিক সংগ্রাম বলুন সবখানে তারা সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে। এ সন্ত্রাসের সন্ত্রাসীরা কাপুরুষ যেদিন তাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে না। তা সেদিন তারা গর্তে লুকাবে।


সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ,মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।


বিবার্তা/জাহিদ/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com