বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটি ইতিহাস, একটি অনুপ্রেরণার নাম। পিতৃ-মাতৃ হারা এক অনাথ শিশু জীবন শুরু করেছিলেন শত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে। নিজের আন্তরিকতা, প্রচেষ্টা ও মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং শ্রেষ্ঠ স্মরণীয় মানবী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকট কাজী এম. সাজাওয়ার হোসেন।
শনিবার (৮ আগস্ট) মেহেরাবা প্লাজায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রীর মাতা ‘বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ শতকের প্রথমার্ধে নারীর অবরোধের বেড়াজাল উপেক্ষা করে সাহসী পদক্ষেপে বেরিয়ে আসেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। সহধর্মিণী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়ক শেখ মুজিবের অনুপ্রেরণাদায়িনী হয়ে পাশে ছিলেন।
সংগঠনের সভাপতি এম.এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, বিশিষ্ট আলেম ক্বারী আসাদুজ্জামান, সাপ্তাহিক জনতার দলিলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, সংগঠনের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন, দফতর সম্পাদক কামাল হোসেন।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বাঙালি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে ধাপে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। আর সেটা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয়, একজন দক্ষ নারী সংগঠক হিসেবে। যিনি ধূপের মতো নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়সম আসনে অধিষ্ঠিত হতে সহায়তা করেছেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশের মুক্তির দীর্ঘ সংগ্রাম, স্বাধীনতা ও দেশ গঠনে, উচ্চারিত নাম মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নামের সাথে শ্রদ্ধাভরে উচ্চারিত নামটি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। যখনই আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলি তখনই বঙ্গমাতার নাম প্রচ্ছন্নভাবে চলে আসে।
তিনি বলেন, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে যে নারীর অবদান অনস্বীকার্য তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের নারী জাতির অহংকার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। যিনি সোনার বাংলা বির্নিমানে আড়ালে অন্তরালে থেকে রেখেছেন অসামান্য অবদান। যিনি কখনো নিজের সুখ সাছন্দ ও ভোগ বিলাসের কথা ভাবেনি। ভেবেছেন দেশ, দেশের মানুষ আর নেতা কর্মীদের কথা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বন্দী জীবনে দক্ষ হাতে সামলিয়েছে ছেলে মেয়ে, সংসার এবং ভেবেছেন নেতা কর্মীদের কথা। সেই দক্ষ সংগঠক মহিয়সি নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ জলিল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের প্রেরণার বড় উৎস ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার অনুপ্রেরনায় শেখ মুজিব হয়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু, হয়ে উঠেছেন শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি সবসময়ই বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সাহস যোগাতেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার নেপথ্য সৈনিক হিসেবে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে সাহস যুগিয়েছেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই ইতিহাস থেকে তাকে সরিয়ে ফেলার কোনো সুযোগ নেই।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]