শিরোনাম
জি কে শামীম যুবলীগের কেউ নয়: ওমর ফারুক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৩
জি কে শামীম যুবলীগের কেউ নয়: ওমর ফারুক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে লোকমুখে শোনা গেলেও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দাবি, শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তিনি বলেন, তার (শামীম) সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।


টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় ‘জি কে বিল্ডার্সে’ অভিযান চালিয়ে শামীমকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।


এসময় সেখান থেকে নগদ প্রায় দেড় কোটি টাকাসহ ২০০ কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদও জব্দ করা হয়। শামীমের সঙ্গে থাকা তার সাত দেহরক্ষীকেও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।


সংগঠনটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু বলেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।


এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম রাজধানীর প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। একসময়ের যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে হয়ে যান যুবলীগ নেতা! নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও জি কে শামীম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তিনি। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো।


ছোটখাটো মানুষ হলেও শামীমের ক্ষমতার দাপট ছিল আকাশসমান। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এ শামীম ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।


জি কে শামীম একসময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ক্যাডার ছিলেন। বিএনপির আমলে জি কে শামীমের ভয়ে মতিঝিল, পল্টন, শান্তিনগরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়িয়েছেন। সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি ছিল তার পেশা। ওই সময় মির্জা আব্বাসের ডানহাত হিসাবে গণপূর্ত ভবনের সকল টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন।


২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আশার পরও তিনি বহাল তবিয়তে ওই ভবন নিয়ন্ত্রণ করে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে। জীবনের ভয়ে অনেক আওয়ামী লীগের ঠিকাদার ওই ভবন ছেড়ে পালান। বাংলাদেশের সকল ঠিকাদারকে গণপূর্তে কাজ করতে হলে তাকে বলে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম সারির (১-২০) সকল ঠিকাদার বাইরে তারভয়ে কথা বলার সাহস পান না। এক অর্থে বলা যায়, গণপূর্ত ভবনের মালিকই তিনি।


এরআগে, অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদকে আটক করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা হয়।


ওই ঘটনায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বরাত দিয়ে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ এ তথ্য জানান।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com