শিরোনাম
লাগামহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরুন : প্রধানমন্ত্রীকে ন্যাপ
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:১৪
লাগামহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরুন : প্রধানমন্ত্রীকে ন্যাপ
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছে।


দলটি বলছে, বাংলাদেশ রূপপুরের বালিশের পর সাড়ে ৫ হাজার টাকার বই সাড়ে ৮৫ হাজার, একটি পর্দা ৩৭ লাখ, একটি ঢেউটিন ১ লাখ টাকা- এসব দেখে প্রমাণিত হচ্ছে দেশে চলছে হরিলুট আর লাগামহীন দুর্নীতি।


শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এ আহ্বান জানিয়েছেন।


তারা বলেন, দেশের অর্থ বিদেশে কারা পাচার করছে? দেশের অর্থনীতির লুটপাটের বরপুত্র কারা? দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা কেন নাজুক? ব্যাংকের টাকা লুট করেছে কারা? কারা শেয়ারবাজারকে লুট করে নিয়ে কবরে শুইয়ে দিয়েছে? জনগণের এসব প্রশ্নের সমাধান করতে হবে।


নেতারা বলেন, আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে নানা কারণ থাকলেও প্রধান অন্তরায় হচ্ছে লাগামহীন দুর্নীতি। ‘দুর্নীতিমুক্ত’ বলা যাবে রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই। সঙ্গত কারণেই আমাদের দেশে দুর্নীতির বিস্তৃতি ঘটতে ঘটতে এখন সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে।


একেবারে অপ্রতিরোধ্য বললেও অতুক্তি হওয়ার কথা নয়। যা আমাদের জাতিসত্তাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ক্রমবর্ধমান ও নিয়ন্ত্রণহীন দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা গেলে প্রতি বছর জিডিপি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।


তারা বলেন, লাগামহীন দুর্নীতির সাথে জড়িত এই লুটেরা চক্র আসলে কারা? মানুষের মুখে মুখে একদল লুটেরার নাম উচ্চারিত হচ্ছে একে একে। তৃণমূল থেকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অসহায় জনগণের চোখে দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্য চোখে পড়লেও, তাদের নাম উচ্চারিত হলেও রাষ্ট্র কেন তাদের খবর জানে না? এসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে আসে।


নেতৃদ্বয় বলেন, সমস্যা হচ্ছে, সমাজ ধীরে ধীরে দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের প্রশ্রয় দিয়ে ফেলছে। সমাজ তাদের গ্রহণ করে নিচ্ছে। আজ সমাজে বিদ্বান লোকের কোনো সমাদর নেই। আগের দিনে সমাজ শ্রদ্ধা করত বিদ্বান ব্যক্তিদের। আজ সমাজ সমীহ করে টাকাওয়ালাদের, বিত্তশালীদের- তাদের টাকার উৎস যাই হোক না কেন। এমন একটা পরিস্থিতিতে কী করণীয়?


তারা বলেন, যতগুলো বড় বড় প্রকল্প বা বিভিন্ন ঘটনায় দুর্নীতির বীভৎস চিত্র বেরিয়ে আসছে, সেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী অঙ্গীকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নীতি থেকে চোখ বন্ধ করে ব্যবস্থা নেয়ার সময় চলে যাচ্ছে।


তারা বলেন, দেশ-জাতির স্বার্থে ও দেশকে উন্নয়নের যে মহাসড়কে তুলেছেন, তা চূড়ান্ত পরিণতিতে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে দলের নেতাকর্মী, এমপি-মন্ত্রী এমনকি সুবিধাভোগী লুটেরাদের অর্থসম্পদ যা গত ১১ বছরে ব্যাপকভাবে অবৈধভাবে বেড়েছে, তার তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।


দুর্নীতি রোধ ও বিদেশে অর্থ পাচার রুখতে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা, শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে পারলেই তিনি উন্নয়নের যে মহাসড়কে দেশকে তুলেছেন তা-ই তাকে ইতিহাসে অমরত্ব দেবে।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com