শিরোনাম
পাহাড়তলী রেলওয়ে জাদুঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৭, ০৮:২৩
পাহাড়তলী রেলওয়ে জাদুঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

এক সময়ের অবহেলিত চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে জাদুঘর এলাকায় ফিরছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। ডিসি হিল কিংবা সিআরবির আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন এক সাংস্কৃতিক ও বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে। প্রীতিলতার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক এই জায়গাটিতে রয়েছে দারুণ পর্যটন সম্ভাবনা।


এখানে নেই কোন যান্ত্রিক কোলাহল, নেই যানবাহনের কালো ধোঁয়া কিংবা শব্দদূষণ। সুবিস্তৃত সমতলের সাথে পাহাড়ি মনোরম পরিবেশ। আছে গাছগাছালি আর পাখিদের মনমাতানো কলরব। এখানে রয়েছে দেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘর। সেখানেই এবার প্রায় চার একর জায়গা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নান্দনিক এই অবকাশযাপন কেন্দ্র। যেখানে রেলওয়ে জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সাথে থাকবে শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, গ্যালারি, শিশুদের বিনোদনকেন্দ্রসহ অবসর উপভোগের দারুণ সব আয়োজন। ইতিমধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে।


নগরীর ৬০ লক্ষাধিক মানুষের অবসর-বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল ডিসি হিল এবং সিআরবি’র শিরীষতলা। এবার বড় পরিসরে তৃতীয় কোন উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্র হতে যাচ্ছে পাহাড়তলির রেলওয়ে জাদুঘর এলাকা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও অর্থায়নে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।



জানা যায়, পাহাড়তলীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গাটিকে সংরক্ষণের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফসারুল আমীন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হোসেন হিরণের প্রচেষ্টায় পাহাড়তলি এলাকায় এই কার্যক্রমের শুরু হয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শহুরে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে এখানে বড় পরিসরে একটি বিনোদনকেন্দ্র তৈরির দাবি তাদের দীর্ঘদিনের।


তাছাড়া অযত্ন-অবহেলায় প্রীতিলতার ঐতিহাসিক সব স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। যে কারণে এ নিয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় আন্দোলনও করেছে। আর এবার শহীদ মিনার নির্মাণের মাধ্যমে তাদের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে বলে এলাকাবাসীও দারুণ খুশি।


এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মো. হোসেন হিরণ বলেন, বন্দর নগরীর ৬০ লাখ মানুষের জন্য উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ডিসি হিল কিংবা সিআরবি যথেষ্ট ছিল না। তাছাড়া নগরীর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা অতদূরে গিয়ে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাও দূরুহ। আর এতবড় শহরের মানুষের পক্ষে বিভিন্ন দিবস ও উৎসবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল প্রদান করা কিংবা অনুষ্ঠান আয়োজন করা ছিল খুবই কষ্টকর। কেননা জায়গাটা খুব সংকীর্ণ ও আঁটসাঁট। তাই আমাদের মাননীয় সাংসদের তত্ত্বাবধানে শহীদ মিনার নির্মাণের মাধ্যমে পাহাড়াতলী ওয়ার্ডকে নান্দনিকভাবে সাজানোর কাজে হাত দিয়েছি।


তিনি বলেন,রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রাস্তার দু’পাশে বাউন্ডারি নির্মাণসহ পুরনো রাস্তার সংস্কার করে দিবে। আর সিটি কর্পোরেশনের যাবতীয় সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজের পাশাপাশি পুরো জায়গাটিকে বিনোদনের উপযোগী করে তুলতে আর্থিক সহায়তা করবে। অন্যদিকে রেলওয়ে জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে আরেকটু ঢেলে সাজানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছে পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com