এ যেন শাপলার রাজ্য। লতা-পাতা গুল্মে ভরা বিলের পানিতে শত সহস্র লাল শাপলা হার মানিয়েছে সূর্যের আভাকেও। বরিশাল সদর উপজেলা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের এক বিলে দেখা মিলবে চোখজুড়ানো এমন দৃশ্যের। প্রকৃতির বুকে আঁকা এ যেন এক নকশি কাঁথা। অপরুপ এ সৌন্দর্য বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের এক বিলের, স্থানীয়দের কাছে যেটি পরিচিত শাপলার বিল নামে।
চলছে বর্ষাকাল। অনেকেরই ধারণা বর্ষা মানেই সকল প্রকার জলজ ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আসলেই কি তাই? বর্ষা বলেই কি শাপলার রাজ্য এখন ফুলে ফুলে ঢাকা? না, বর্ষা শাপলার ঋতু নয়। তবে এখন বেড়াতে গেলেও আপনি শাপলার দেখা পাবেন। তবে শাপলার লাল গালিচা পাবেন না।
বিখ্যাত এই সাতলা বিল যা কি না এখন অনেক বেশি পরিচিত শাপলা বিল হিসেবে। এখানে শাপলা হয় ৩ রঙের। ছবিতে লাল শাপলাই বেশি দেখা যায়, কারণ তাদের আধিক্য বেশি। কিন্তু এই বিলে আপনি নীল শাপলা আর সাদা শাপলার দেখাও পাবেন।
আগাছা আর লতা-পাতায়, বিলের হাজারো শাপলা, চোখ জুড়ায় পথচারিদের। বিলের যত ভেতরে যাওয়া যায়, ততই বাড়তে থাকে লালের আধিক্য।
তবে আপনি যে ঋতুতেই যান না কেন যেতে হবে ভোরে। বরিশাল থেকে এই গ্রামে পৌঁছতে সময় লাগে ২ ঘন্টার মতো। তাই ভোর ৪ টায় রওয়ানা দিতে হবে অন্তত। ৬টার মধ্যে পৌছে যাবেন বিলে। বিলেই পাবেন নৌকা বেড়ানোর জন্য। সকাল ৭টা পেরোতেই কিন্তু ঘুমোতে শুরু করে ফুলেরা। আর এই অঞ্চলের যারা শাপলা বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারাও শাপলা তুলতে শুরু করেন, বাজারে নেবেন বলে। তাই বিলে চলে যান সূর্য উঁকি দিতে দিতেই।
কখন যাবেন
শাপলা হয় প্রায় ৯ মাস। মার্চ থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত শাপলার পুরো সিজন এখানে। তাই এ সময়ের মধ্যে গেলে শাপলা দেখতে পাবেন। শাপলা দেখতে হলে আপনাকে খুব সকালে যেতে হবে, কেননা সকাল ৮টার পরে ফুল বুজে ছোট হয় যায় অথবা শাপলা শিকারিরা শাপলা তুলে নিয়ে বাজারে বিক্রি করতে যায়।
যেভাবে যাবেন
লঞ্চে বা বাসে চলে যাবেন বরিশাল। বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতি ৩০ মিনিটে সাতলার বাস ছাড়ে। ভাড়া ৯০ টাকা।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]