সাধারণত যারা রাজধানী ঢাকায় বাস করেন এবং চাকরিজীবী তাদের ঢাকার বাইরে বেড়ানোই হয় না। আর এর কারণ সময়ের অভাব। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিনের ছুটিতে তো আর ঢাকার বাইরে থেকে ঘুরে আসা যায় না। কিন্তু এই ইট, কাঠ আর ধূলাবালুর শহরে একটু সবুজ খুঁজে ফেরে সবারই চোখ।
কিন্তু ব্যস্ত জীবনে ছুটি তো ওই সপ্তাহের একদিন। তাই ধারে কাছেই ভরসা। গোলাপ গ্রাম আর জিন্দা পার্ক তো আছেই, তবে এই বর্ষায় ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়া থেকে। ঢাকার কাছে ভ্রমণের নতুন গন্তব্য বলা যায় একে।
বর্ষায় টুইটুম্বুর বিলে পরিষ্কার পানি আর পানিতে ভেসে থাকে আকাশের মুখচ্ছবি। অপূর্ব শান্তিময় সবুজের মাঝে নীল বিলে নৌকায় ভেসে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা। বিলের মাঝখানে একটা গাছও আছে। শীতল বাতাসে গাছের সাথে নৌকা বেঁধে, ছায়ায় বসে আড্ডা দিতে বা হেডফোনে পছন্দের গান শুনতে কি যে ভালোলাগে তা না গেলে বুঝবেন না।
নানান আকৃতির নৌকা পাওয়া যায় এই বিলের ঘাটে। ছোট নৌকাগুলোতে অনায়াসে ৫/৭ জন ওঠা যায়। ভাড়া নেয় ঘন্টা প্রতি ২০০ টাকা। বিশেষ করে যারা খোলা আকাশ, মুক্ত বাতাস আর স্বচ্ছ পানিতে মুগ্ধ হন তাদের জন্য এটা একটা অসাধারণ জায়গা। গ্রুপ করে আসলে অনেক অল্প খরচে খুব সুন্দর একটা বিকেল কাটানো সম্ভব এখানে।
তাছাড়া বাসুলিয়া যাওয়ার পথটাও অনেক সুন্দর। কম খরচে তাই ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। তবে নিরিবিলি চাইলে শুক্রবারটা এড়িয়ে অন্যদিন যেতে পারলে বেশি ভালো হয়। কারণ ছুটির দিন বলে এদিন অনেক ভির হয়।
যেভাবে যাবেন
মহাখালি থেকে টাঙ্গাইলের বাসে করে সোজা চলে যাবেন টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড। ভাড়া-নন এসি বাসে ১৬০ টাকা আর এসি বাসে ২৫০ এর মতো। এরপর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোতে করে ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে আসবেন পুরাতন বাসস্ট্যান্ড। সেখানে বাসাইলের সিএনজি পাওয়া যাবে। ভাড়া ৩০/৪০ টাকা।
বাসাইল বাজারে গিয়ে সিএনজি থেকে নেমে ভ্যানে করে বাসুলিয়া বিলের পাড়। ভাড়া প্রতিজন ২০ টাকা করে। দিনে যেয়ে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন বাসুলিয়া থেকে। তবে বিলের সবচেয়ে সুন্দর রূপটা দেখতে হলে বিকেল পর্যন্ত থাকতে হবে।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]