পাহাড়ের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সবুজ রূপ বৈচিত্রের শ্যামলভূমি রাঙামাটি। কোনো উপমাই যথেষ্ট নয় যতটা হলে বোঝানোয় যায় এ জেলার অপরূপ সৌন্দর্য। এখানে পাহাড় এখানে আছে জীবনে জীবনে। পাহাড়ের ওপর দিয়েই চলে গেছে রাস্তা।
তবে নগর পেরিয়ে গহীনে এমন অনেক পাহাড় আছে যেখানে এখনো পা পড়েনি নাগরিক ভ্রমণকারীর। আর এরকমই একটি পাহাড় হলো ফুরমোন। কাছে হলেও নিশ্চিত অনেকেই এখনো যাননি অপরূপ এই পাহাড়টিতে।
রাঙ্গামাটির বনরুপা থেকে সিএনজি রিজার্ভ করলে সরাসরি ফুরমোন পাহাড়ের ওঠার রাস্তার ঠিক মুখে নামা যায়। সেখান থেকে পাঁয়ে হেঁটে উঠতে হয় ফুরমোন পাহাড়ের চূড়ায়। দুইটা পথ দিয়ে ওঠা যায় ফুরমোন। তবে সাপছড়ির রাস্তা দিয়ে গেলে কম সময়ে ওঠা যায়।
কিন্তু সাপছড়ি দিয়ে গেলে অনেক খাড়া পাহাড় বেয়ে যেতে হয়। অদ্ভুত সুন্দর ফুরমোন পাহাড় এবং ফুরমোন ওঠার পাহাড়ী রাস্তা। এই পাহাড়ে গেলে ভালো করে জেনে যাবেন কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।
আর দয়া করে পাহাড়ে ওঠার আগে কোন বাঙ্গালীর কাছে শুনবেন না যে কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এরা আপনাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাবে। যেমন- এত খাড়া রাস্তা উঠতে পারবেন না, ছিনতাই হতে পারে, মাঝ রাস্তায় কোনো জনবসতি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। এদের কথায় মোটেও কান দেবেন না।
ফুরমোনের চূড়া থেকে কাপ্তাই লেককে অদ্ভুত সুন্দর দেখায়।ফুরমোন এর চূড়ায় ওঠার ঠিক আগে একটা আর্মি ক্যাম্প আছে। তবে হৈ হুল্লোড় থেকে বিরত থাকবেন। কারণ ভান্তেরা এখানে মেডিটেশন করেন। মনে রাখতে হবে যে, এটা পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটা তীর্থ কেন্দ্র। আর হ্যাঁ, পাহাড়ে চড়ার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি সাথে নিয়ে নিন কারণ পথে কিছুই পাবেন না।
যেমন- পর্যাপ্ত পানি, শুকনা খাবার, হাঁটার জন্য লাঠি ইত্যাদি। আর পুরো রাস্তায় মাত্র দু’টো বাড়ি এছাড়া পুরোটাই জনমানব শূন্য। চারিদিকে মেঘের ছড়াছড়ি। আর নিচে কাপ্তাই লেকের অপরূপ দৃশ্য জুম ক্ষেতের ভেতর দিয়ে। এক কথায় অসাধারণ। না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]