শিরোনাম
এক নজরে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতসমূহ
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০১৭, ১২:১৪
এক নজরে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতসমূহ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণে পুরোটা জুড়ে আছে বঙ্গোপসাগর। কিছু বছর আগেও বাংলাদেশে সমুদ্র সৈকত হিসেবে কক্সবাজার বা পতেঙ্গা এর বাইরে তেমন কোন নাম উচ্চারিত হতো না। কিন্তু বর্তমানে ভ্রমণপিয়াসী মানুষেরা নিজেদের চিত্তবিনোদনের জন্য অজানা অদেখা জায়গাগুলোও বেছে নিচ্ছেন। আসুন আমরা বাংলাদেশের কিছু সমুদ্র সৈকতের সাথে পরিচিত হয়ে নেই।


❏ কক্সবাজার: কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন শহর। সুন্দর নৈসর্গিক পরিবেশ ও বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে করেছে বিখ্যাত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ১২০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। কক্সবাজার জেলার নামকরণ করা হয়েছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নামানুসারে যিনি ব্রিটিশ আমলে ভারতের সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।


❏ ইনানী: ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্বচ্ছ সুন্দর জলরাশি পর্যটকদের কাছে এই সৈকতের আবেদন বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটিকে সমূদ্রস্নানের জন্য আদর্শ ভাবা হয়।


❏ কটকা: যদি রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখতে চান তবে ঘুরে আসতে পারেন কটকা থেকে। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে বাগেরহাটের মংলা অঞ্চলের সুন্দরবনে। শান্ত সুন্দর সৈকত, চিত্রা হরিণ ছাড়াও কুমির কিংবা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হঠাৎ দেখা আপনার ভ্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।


❏ কুয়াকাটা: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যটকদের কাছে সাগর কন্যা হিসেবেও পরিচিত। কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত এবং কুয়াকাটাই বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সবচেয়ে ভালোভাবে সূর্যোদয় দেখা যায় সৈকতের গঙ্গামতির বাঁক থেকে আর সূর্যাস্ত দেখা যায় পশ্চিম সৈকত থেকে।



❏ টেকনাফ: টেকনাফ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের একটি উপজেলা। নাফ নদীর নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে। টেকনাফের স্বচ্ছ নীল জলরাশি পর্যটকদের সহজে আকৃষ্ট করে। এছাড়াও টেকনাফে আছে নে-টং বা দেবতার পাহাড়, মাথিনের কূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সৈন্যদের তৈরি করা বাংকার, কেনাকাটার জন্য বার্মিজ মার্কেট ইত্যাদি।


❏ পতেঙ্গা: পতেঙ্গা সৈকত চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। একদিকে মনোমুগ্ধকর ঝাউবনের সারি আর অন্যদিকে নীলাভ জলরাশি আপনাকে আতেথিয়তার আমন্ত্রণ জানাবে। ঝাউবনের পাশ দিয়ে উত্তর দিকে এগুলেই দেখতে পাবেন বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলি নদীর মোহনা।


❏ পারকী: পারকী একটি উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত। এক সময় বাংলাদেশে সমুদ্র সৈকত বলতে শুধু কক্সবাজার এবং পতেঙ্গা সৈকতকে মনে করা হলেও বর্তমানে পর্যটদের কাছে পারকী সৈকত বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। পারকীর চর হিসেবে পরিচিত এ সৈকত চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ার থানায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩৫কিমি।


❏ সেন্ট মার্টিন: সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ। সেন্ট মার্টিন টেকনাফ হতে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমার উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকা হয়। বর্তমানে এ দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com