ঈদের এই ছুটিতে রাজধানী ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছাড়াও বেশ কিছু বিনোদন স্পট রয়েছে যেখানে ঘুরে আসা যায় পরিবার-পরিজনসহ।এজন্য দরকার পরিকল্পনা ও সফল উদ্যোগ। ব্যস এতেই আপনার ঈদ আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নেই আকর্ষণীয় স্পটগুলো সম্পর্কে:
❏শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস: ঢাকার আগারগাওয়ে অবস্থিত শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস একটা বিকেল কাটাবার জন্য আদর্শ জায়গা। চীন মৈত্রীর সামনে নেমে রিক্সায় সোজা পশ্চিম দিকে রাস্তা। এখানকার সৌন্দর্য দেখার কয়েকটি স্থান আছে যেমন: দক্ষিণ দিকের গেট দিয়ে ঢুকে একেবারে উত্তর দিকে যেতে হবে। এরপর একটু পুব দিকে এগোলেই একটা বড় পুকুর। এ পুকুরের জংলা ঘাটটায় বসে পরুন। মূল ভবনের সামনে ধান ক্ষেতের মাঝে অথবা লেডিস হলের কাছে গাছপালা ঘেরা জায়গাটায়। এসব জায়গায় এক বক্স ভুনা খিচুরি, এক ফ্লাক্স চা আর কিছু স্নাক্স নিয়ে কয়েকটা ঘণ্টা কাটান কোন এক সুন্দর বিকেল কিংবা এক চাঁদনী রাতে, বাঁচতে ইচ্ছে করবে আরো হাজার বছর।
❏ উয়ারী বটেশ্বর, বেলাব, নরসিংদি: নরসিংদির উয়ারী বটেশ্বরে বিরাট ধানক্ষেতের পাশে একটি সরকারি গেস্ট হাউস আছে। এটির বৈশিষ্ট হলো দ্বিতীয় তলায় বিশাল রুমটির সামনে বিরাট একটি খোলা ছাদ। অসাধারণ একটি জায়গা। এই গেস্ট হাউজটিতে বুকিং দেয়া একদম সোজা, ভাড়াও কম। বাজার ও রান্নার দায়িত্ব অনায়াসে দেয়া যায় এর কেয়ারটেকারের ওপর। এক সকালে চলে যান সেখানে। সারাদিন কাটিয়ে বিকেলের দিকে গ্রামটা ঘুরে দেখুন। এক ফাঁকে দেখে নিন উয়ারী প্রত্নতাত্বিক স্থানটি। রাতে ফিরে আসুন বাংলোয়। রাতের খাবার খেয়ে রুমের সামনে খোলা জায়গাটিতে বসে যান। রাত কখন শেষ হবে টেরও পাবেন না।
যেভাবে যাবেন: মহাখালী থেকে বিআরটিসির ভৈরবগামী বাসে বা চলনবিল/অনন্যা সুপার পরিবহণের বাসে উঠুন। ভৈরবের মরজাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে যান। সময় লাগবে দুই ঘণ্টা, ভাড়া ১০০ টাকা। সেখান থেকে খনন কার্যের জায়গা যাওয়া যায় সিএনজি করে। প্রতিজন ৩০ টাকা, রিজার্ভ ১২০-১৫০ টাকা। খননকার্য অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এর কাজ চলছে। ডাক বাংলোর ভাড়া ৫০০ টাকা ও ১২০০ টাকা (এসি রুম)। কেয়ারটেকার লিটনের ফোন নম্বর ০১৯৩৩২৫১২৪২
❏ জলজঙ্গলের কাব্য, পুবাইল, গাজীপুর: টংগীর পুবাইলের পাইলট বাড়ির কথা হয়তো অনেকে জানেন। প্রাকৃতিক এক ভূমিকে অবিকৃত রেখে আরো প্রাকৃতিক করা হয়েছে ডিজাইনারের নিপুণ ছোয়ায়। এক জোসনা রাতে আগে থেকে থবর দিয়ে চলে যান সেখানে। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্তু বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন ১ টা দিন।
যেভাবে যাবেন: মহাখালী থেকে নরসিংদি বা কালিগঞ্জগামী যে কোন বাসে উঠুন। ১ ঘণ্টা পর পুবাইল কলেজ গেট এলাকায় নেমে পড়ুন। ভাড়া নেবে ৪০ টাকা। এরপর একটা ব্যাটারিচালিত রিক্সায় করে পাইলট বাড়ি। গেলে এসে ফোন করুন, গেট খুলে দেবে। তবে অবশ্যই আগে বুকিং থাকতে হবে।
খরচ: এখানে জনপ্রতি নেয়া হয় ২০০০ টাকা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারসহ। শুধু দুপুর ও রাতে খাবারসহ ১৫০০ টাকা। যোগাযোগ: ০১৯১৯৭৮২২৪৫। জলজঙ্গলের কাব্যর ওই টাকার মধ্যেই খাবার ব্যবস্থা থাকা। খাবার মেনুগুলো দারুণ: ভাত, পোলাও, চালতা দিয়ে ডাল, মুরগির মাংস, রুই মাছ, গুড়া মাছ, তেঁতুল দিয়ে কচুমুখি, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ঘন ডাল আরো বেশ কটি আইটেম।
❏ বেলাই বিল, গাজীপুর: গাজীপুরের চিলাই নদী এবং সংলগ্ন বেলাই বিল হতে পারে একটা দিন কাটাবার আদর্শ জায়গা। বিশাল জলাভূমিতে নৌকায় করে সারাটা দিন পার করুন আর দেখুন জেলেদের মাছ ধরা। সকালে ও এবং বিকেলে তাজা মাছ পাওয়া যায় এখানটায়। আসার সময় কিনে নিয়ে আসুন। কানাইয়া বাজারের পাশেই চিলাই নদী। এখানে একটা নৌকা ভাড়া করে নিন। ছোট নৌকা হলে সারাদিন নেবে ৫/৬ শ টাকা। আর বড় নৌকা ২০০০ টাকা। রাতে নৌকাতেই থাকতে পারেন। এটা করলে বাজার কমিটিকে জানিয়ে রাখবেন আগেভাগে।
যেভাবে যাবেন: মতিঝিল বা মহাখালী থেকে গাজিপুরগামী বিআরটিসি বা গাজীপুর পরিবহনের বাসে উঠুন। নামবেন গাজীপুর শিববাড়ি মোড়ে। একটু হেটে সামনে গিয়ে কানাইয়া বাজার যাবার টেম্পুতে উঠুন। ৩০ মিনিট পর কানাইয়া বাজারে নামুন। ভাড়া নেবে ১০ টাকা।
❏ ধনবাড়ি রয়্যাল রিসোর্ট, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে একটা পুরনো রাজবাড়ি আছে যা এখন রিসোর্ট হিসেবে চালু হয়েছে। নাম ধনবাড়ি রয়্যাল রিসোর্ট। এখাকার মূল Palace এর ভাড়া বেশি। তাই সেখানে না থেকে কাচারী বাড়িটা ভাড়া নিন আর সামনে বিশাল মাঠে বসে একটা রাত কাটান উপভোগ করুন।
যেভাবে যাবেন: ঢাকার মহাখালী থেকে সরাসরি ধনবাড়ির বাস ছাড়ে। সময় নেবে ৪ ঘণ্টা আর ভাড়া সম্ভবত ২০০ টাকা। রয়্যাল রিসোর্ট এর ভাড়া ২০০০ টাকা থেকে শুরু। তবে এরা বিভিন্ন ট্রাভেল ফেয়ারে ৫০% ডিসকাউন্ট দেয়। সে সময় বুকিং দিয়ে রাখবেন। ঢাকা অফিস: লাইট হাউস গ্রুপ, বিএসআরএস ভবন, ৭ম তলা, কারওয়ান বাজার, ঢাকা ফোন- ৯১৩০৯০০, ০১৭২৩-৫৪১৩৪৬ (নামজমুল হাসান)
❏ রিভার প্যালেস, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ শহর পার হয়ে মুক্তাগাছার দিকে মাইলতিনেক গেলে হাতের ডানে খাগডহরে ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে গড়ে উঠেছে River Palace নামে অনিন্দ সুন্দর এক রিসোর্ট। এ রিসোর্ট এর বারান্দায় বা পেছনের নদী তীরে বসে একটা রাত কেনো গোটা জীবনটাই পার করে দেয়া যায়।
যেভাবে যাবেন: ময়মনসিংহ পর্যন্ত বাসে। বাস স্ট্যান্ড থেকে কাচিঝুলি পর্যন্ত যাবেন রিক্সায়। এরপর মুক্তাগাছার ম্যাক্সিতে উঠে বসবেন। রিসোর্ট ভাড়া ১০০০, ১৫০০ এবং ২০০০ টাকা। রিভার প্যালেসে খাবার: এখানে খেতে গেলে ওনাদের মেনু থেকে বেছে দিলে সেভাবে রান্না করে দেয়। জনপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা লাগে খেতে। ঠিকানা: হোটেল River Palace, খাগডহর, ময়মনসিংহ। ফোন: ০১৭১০-৮৫৭০৫৪
❏ সাদুল্লাপুর, সাভার: সাভার উপজেলায় অবস্থিত। বর্ষাকালে মিরপুর সিন্নিরটেক ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে নৌকা নিয়ে যেতে পারেন আধা ঘণ্টা পরে এটি সাদুল্যাপুর গ্রামে পৌঁছাতে হবে. এই গ্রামে অনেক ফুলের বাগান পাবেন। এই এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক গুলো ফুলের ট্রাক ঢাকা আসে। ডে ট্রিপের জন্য আদর্শ একটি জায়গা। তবে, এখন বিরুলিয়া ব্রিজ হয়ে যাওয়ায় সরাসরি মিরপুর বা উত্তরা থেকে আকারান বাজার হয়ে সাদুল্লাপুর ফুলের ক্ষেতে যেতে পারবেন।
❏ কলাকোপা বান্দুরা: বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের বিশাল ভান্ডার কলাকোপা বান্দুরা হতে পারে ডে আউটের জন্য আদর্শ একটি স্থান। ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫ কিমি: দূরের ইছামতি নদী তীরে গড়ে ওঠা প্রায় ২০০ বছরের সমৃদ্ধ এ জনপদটি এখনও ভীড় ভাট্টা থেকে দূরে। তাই চলুন যে কোন এক সকালে।
কিভাবে যাবেন: গুলিস্তান মাজারের কাছ থেকে কলাকোপা বান্দুরাগামী বাস এন. মল্লিক ছাড়ে প্রতি ঘণ্টায়। এখান থেকে বাসে চেপে ঘন্টা দুয়েক পরে পৌঁছে যাবেন কলাকোপা বান্দুরা।
কি দেখবেন: ইতিহাস আর ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ এলাকা এটি। প্রথমেই দেখবেন লক্ষ্মীনারায়ণ বিগ্রহ মন্দির। জলদস্যু থেকে দাতায় পরিণত হওয়া খেলারামের কথা আজো ভোলেনি সেখানতার মানুষ। এরপর একে একে দেখন কোকিলপেয়ারী জমিদারবাড়ি বা জমিদার ব্রজেন সাহার ব্রজ নিকেতন, যা এখন জজবাড়ি নামে খ্যাত; ব্যবসায়ী রাধানাথ সাহার বাড়ি, শ্রীযুক্ত বাবু লোকনাথ সাহার বাড়ি, যার খ্যাতি মঠবাড়ি বা তেলিবাড়ি নামে; মধু বাবুর পাইন্নাবাড়ি, পোদ্দারবাড়ি, কালীবাড়ি এবং কলাকোপার কাছে সামসাবাদ তাঁতপল্লি, এর একটু দূরে আলানপুর তাঁতপল্লি। আর অতি অবশ্যই ইছমতি নদী ভ্রমণ করবেন।
❏ রাণীগঞ্জ: রাণীগঞ্জ হতে পারে ডে ট্রিপের জন্য আদর্শ একটি জায়গা। কাপাসিয়া ব্রিজ এর ডান পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ধরে মাইল দশেক গেলেই রানীগঞ্জ। জায়গাটি শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত। এ নদীতে রয়েছে সুন্দর একটি দ্বীপ। তাছাড়া নদীতে নৌকা ভাড়া করে ঘোরা যায়। নদীর ওপারের বাজারে পাওয়া যায় তাজা মাছ যা কোন রেস্টুরেন্টে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়।
যেভাবে যাবেন: মহাখালী আইসিডিডিআর বি এর বিপরীতে পেট্রল পাম্প থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় রানীগঞ্জের বাস ছাড়ে। ভাড়া ৮০ টাকার মতো। সময় লাগবে ঘণ্টা দুয়েক। কাপাসিয়ার পর রাস্তা গাছপালায় ছাওয়া অসাধারণ এক রাস্তা।
❏নুহাশ পল্লী: ঢাকার অদূরে গাজীপুরে অবস্থিত। বিশিষ্ট সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক নিসর্গ। নুহাশ চলচিত্রের শুটিংস্পট ও পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এটি। গজারি আর শাল গাছের জঙ্গলের মধ্যে দুর্গ আকৃতির দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেই সবুজের সমরোহ দেখে চোখ আর মন দুই জুড়িয়ে যাবে। সবুজের মাঝে লাল সুরকি বিছানো রাস্তা, তার একপাশে একটু দূরে দূরে দুটো কটেজ। এর পাশে জবা ফুলের গাছে ঘেরা খুব সুন্দর সুইমিং পুল আছে। বড় বড় গ্লাসের জানালা ওয়ালা কটেজের রুম গুলো বেশ সুন্দর করে গোছানো। সারা বাড়ি জুড়ে হুমায়ুন আহমেদের বর্তমান সংসার জীবনের জীবনের নানা চিহ্ন ছড়ানো। এখানে একটি ঘরে হুমায়ুন আহমেদের এ পর্যন্ত যত বই বের হয়েছে, তার সবগুলোর একটি সংগ্রহ রক্ষিত আছে। বইপ্রেমিদের জন্য লোভনীয় খবর হলেও এই ঘরে সবার প্রবেশাধিকার নেই। দুই কটজের মাঝে রয়েছে ছোট্ট একটি ছায়া ঘেরা পদ্ম পুকুর।
নুহাশ পল্লী প্রধান ফটক পেরোলেই চোখে পরবে কাঁচা সবুজ গালিচা খুব যত্ন করে কাটা দুবা ঘাসগুলো দেখে আপনি চমকে যাবেন।এত গাঢ় সবুজ সবসময় চোখে পড়েনা। শুরুতেই ডান পাশে একটি সুদৃশ্য স্ট্যাচু রয়েছে। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন স্ট্যচু তে একজন মা তার ছেলে কে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। বিরাট সবুজ মাঠের এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত লম্বা খাঁচায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। মাঠের দুই পাশে স্থানে স্থানে রয়েছে ছোট ছোট জলাধার। সেখানে পদ্ম, শাপলা সহ রয়েছে আরো অনেক জলজ ফুল। একটু এগোলেই ডান পাশে মাটির তৈরী একটি বাড়ি রয়েছ। দেখতে মাটির মনে হলেও ঘর টি পাকা আর পাকা ঘরের দেয়ালে মাটি মেখে মাটির ঘরের রুপ দেয়া হয়েছে।অত্যন্ত চমৎকার এই বড়ি টি লতা জাতীয় ফুলগাছে বেষ্টিত। মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের উপর ছোট ছোট ঘর তৈরী করা হয়েছে। স্যুটিং এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরী ঘরগুলো আবাক করবে আপনাকে। হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সকল নাটক সিনেমার অন্যতম স্যুটিং স্পট এটি।
❏ বাউনিয়া, উত্তরা: উত্তরা জসিমুদ্দিন রোড থেকে ২০-৩০/- টাকা রিকশা ভাড়া নেয়। হেঁটে গেলে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগবে। যে কোন ছুটির দিনে এক বিকেল অনায়াসে কাটানো যায়। রানওয়েতে বিমান নামার দৃশ্য দেখতে পারেন, মন চাইলে নৌকায় ঝিলের পানিতে ঘুরতে পারেন। বেশ চমৎকার। মিরপুর হতেও বাউনিয়া যাওয়া সম্ভব।
❏ জিন্দা পার্ক, রূপগঞ্জ: দাউদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এই মনোরম পার্কটি। নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় ১৫০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই পার্ক টিতে রয়েছে ২৫০ প্রজাতির ১০,০০০ এর বেশী গাছ-গাছালি,৫ টি জলাধার,অসংখ্য পাখ-পাখালির কলকাকলী সবকিছু মিলে পার্কটি দেশ বিদেশের পর্যটকদের জন্য একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে।পার্কের ভেতরেই রয়েছে মার্কেট সেখানে সব ধরনের কেনাকাটা করতে পারে দর্শনার্থীরা। আছে লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, প্রাণী জগত। পিকনিক বা ডে আউট করার জন্য আদর্শ জায়গা। পার্কের লেকেই নৌবিহারের জন্য রয়েছে ৭/৮টি সুসজ্জিত নৌকা। পার্ক সাপ্তাহে সাতদিনই খোলা। ভিতরে খাবারের জন্য রেস্টুরেন্ট আছে। প্রবেশ টিকেট ১০০ টাকা জনপ্রতি আর ভিতরে প্যাডেল বোট ঘন্টায় ৮০ টাকা।
জিন্দা পার্কে যাবার যোগাযোগের মাধ্যম হলো১. একটি পথ হচ্ছে ঢাকার ৩০০ ফিট রাস্তা হয়ে সিএনজি অটোরিকশা বা ট্যাক্সি যোগে কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে জিন্দা পার্ক।২. ঢাকা থেকে বাস যোগে কাঁচপুর ব্রীজ হয়ে ভূলতা গাউছিয়া হয়ে বাইপাস দিয়ে কাঞ্চন ব্রীজ হয়ে জিন্দা পার্কে আসা যায়, ঢাকা থেকে জিন্দা পার্কের দূরত্ব ৩৭ কিঃ মিঃ,৩. অথবা ঢাকা হতে টঙ্গী মিরের বাজার হয়ে বাইপাস রাসত্মা দিয়ে জিন্দা পার্ক আসা যায়, টঙ্গী হতে জিন্দা পার্কের দূরত্ব ২৮ কিঃ মিঃ।
❏ মৈনট ঘাট: দোহারের মৈনট ঘাট গিয়ে দেখা পাবেন পদ্মা নদীর। পদ্মা পারের বিস্তৃত প্রান্তর সময় কাটনোর জন্য এক দারুন জায়গা। মৈনট ঘাটে যাওয়ার গুলিস্থান থেকে জন্য 'যমুনা ডিলাক্স' বাস পাবেন। ভাড়া ৯০ টাকা, যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টার মত।
❏বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: ঢাকার গাবতলী থেকে এস.বি লিংকের গাড়ীতে সরাসরি বালিয়াটি জমিদার বাড়ী যাওয়া যায়। ভাড়া নিবে ৮০-৯০ টাকার মত। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি রবিবার পূর্ণ দিবস ও সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে, এছাড়া শুক্রবার নামাজের সময়টায় বিরতি থাকে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে থাকা এই জমিদার বাড়িতে জন্য রয়েছে প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। সম্মুখে সিংহদ্বার পাহারা দিচ্ছে বিশাল খিলান বিশিষ্ট চারটি ভবন। সবমিলিয়ে মোট সাতটি স্থাপনা। মূল বাড়ির আশেপাশে রয়েছে যেমন বেশ কয়েকটি পুকুর, জমিদার বাড়ির ভেতরের একটি সুন্দর বাঁধানো পুকুর। জমিদার বাড়ির ভেতরে রয়েছে জাদুঘরও।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]