শিরোনাম
বড় কাটরা: মুঘল ঐতিহ্যের পরশ
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০১৭, ০৯:০৭
বড় কাটরা: মুঘল ঐতিহ্যের পরশ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রিকশার টুংটাং শব্দ আর প্রচুর মানুষের ভিড় ঠেলে গত শনিবার বিকেলে পৌঁছে গেলাম মুঘল আমলের স্থাপত্য বড় কাটরায়। স্থাপত্যটি অবস্থিত পুরান ঢাকার চক বাজারে। সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে ১৬৪১ খ্রিস্টাব্দে এই ইমারতটি নির্মাণ করা হয় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে। প্রথমত শাহ সুজার এখানে থাকার কথা হলেও পরবর্তীতে এটি ‘ক্যারাভান সরাই’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


ক্যারাভান সরাই অর্থাৎ সরাইখানা, যেখানে পথচলতি মুসাফিররা বিশ্রাম নিতে আসেন। কথিত আছে এই কাটরায় মুসাফিররা বিনে পয়সায় বিশ্রাম নিতে পারতেন। সেই সময় দালানটিতে ২২টি দোকানঘর যুক্ত করা হয়, যাতে এই দোকানগুলোর আয়ে চলতে পারে দালানের মেরামত কাজ ও মুসাফিরদের বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা।


যদিও এটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, তবে সংস্কার আর সরকারি পর্যবেক্ষণের অভাবে, এটি একটি স্থানীয় মাদ্রাসা ও নানা দোকানীর দখলে চলে গেছে। বড় কাটরা পরিণত হয় জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটরা মাদ্রাসায়। এছাড়াও ছোট বড় নানা দোকানের ভিড়ে এর আসল রূপ যেন হারিয়ে গেছে।


বড় কাটরায় একটি চতুর্ভুজ খিলানে আচ্ছাদিত চেম্বার রয়েছে, যার উত্তর ও দক্ষিণে প্রধান প্রবেশপথ দ্বারা চতুর্দিক উপর ঘিরা নিয়ে গঠিত। দক্ষিণ শাখায় ২৩৫ ফুট উপস্থাপন করে একটি অদ্ভুত সুন্দর সম্মুখভাগ রয়েছে এবং মাঝখানে রয়েছে একটি তিন তলা সমান প্রবেশদ্বার। দুই তলা কাঠামো প্লাস্টার প্যানেল দিয়ে গঠিত এবং উত্তুঙ্গ তিন তলা অষ্টভুজ ঠালা টাওয়ারসহ দুটি কোণে বিভক্ত। বর্তমানে পূর্বের ২২ টি কক্ষ যা মূলত সরাই হিসেবে ব্যবহৃত হত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং পরিণত করা হয়েছে আধুনিক দোকান এবং অর্ধেক খালি ঘের সংলগ্ন অন্তর্ভুক্ত একটি এক তলা ভবনে।


যেভাবে পৌঁছানো যাবে বড় কাটরায়: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে দক্ষিণে বিশ মিনিট হাটলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে চক বাজার। চক বাজারের শেখ আগজর লেইনে ঢুকে একটু হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে বড় কাটরায়।


বিবার্তা/জিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com