সেন্টমার্টিনে পর্যটকের উচ্ছ্বাস, ফিরল প্রাণচাঞ্চল্য
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০২
সেন্টমার্টিনে পর্যটকের উচ্ছ্বাস, ফিরল প্রাণচাঞ্চল্য
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

একদমই পর্যটন মৌসুম যাকে বলে ঠিক সেসময়ই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কারণ দর্শানো হয়েছিল নাব্যতা সংকট। তবে, দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর প্রশাসনিক অনুমতিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 


সূত্র জানায়, শুক্র ও শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এই দুইদিনে চারটি জাহাজে চড়ে সেন্টমার্টিন গিয়েছেন ৯১৪ জন যাত্রী।


শুক্রবার প্রথম দিন ৬১০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন ভিড়ে এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস। শনিবার দ্বিতীয় দিন কেয়ারী সিন্দাবাদ ১৭৪ এবং আটলান্টিক ক্রুজ ৯৮ জন পর্যটকসহ ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফ ঘাট থেকে দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। অতিথিদের স্বাগত জানান জাহাজ কর্তৃপক্ষ।


রোববার (১৫ জানুয়ারি) থেকে আরও দু’টি জাহাজ শহীদ সুকান্ত বাবু ও ভাষা শহীদ সালাম চলাচল করবে বলে জানা গেছে।
 
নাব্যতা সংকটের মাঝেও কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, বে-ওয়ান ও বার আউলিয়া নামের তিনটি জাহাজ চলছিল। মিয়ানমারের মালবাহী জাহাজ চলাচলও অব্যাহত ছিল। কেবল বন্ধ থাকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ। ফলে, হুমকিতে পড়েছিল পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। অনিশ্চয়তায় মুখোমুখি হয় দ্বীপের বাসিন্দারা। কক্সবাজার বিমুখ হতে শুরু করে পর্যটকেরা।


এমন বৈষম্যমূলক আচরণের কথা তুলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) ও জাহাজ মালিক সমিতিসহ ১১টি সংগঠন। গত ১০ জানুয়ারি শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনও করেন তারা। এ বিষয়ে পরদিন ১১ জানুয়ারি ঢাকায় বৈঠক হয়


অবশেষে ১২ জানুয়ারি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমোদন মেলে। আর তাতেই কি কেটে গেল নাব্যতা সংকট! বর্তমানে এ রুটে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলছে। আর এতে করে আবারো মুখরিত দ্বীপের বালিয়াড়ি ও সাগরতীর। এতেই প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সেন্টমার্টিনে। স্বাভাবিক হয়ে উঠছে পর্যটন ব্যবসা।


কেয়ারী ট্যুরস অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডের এজিএম ও হেড অফ ট্যুরিজম এসএম আবু নোমান বলেন, প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে আমাদের জাহাজ ছাড়ে। প্রথম দিনের যাত্রা উদ্বোধন করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান।


টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুইদিনে চারটি জাহাজ গেল। যারা যাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশ আনন্দ-উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। তবে যাত্রী সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কম। প্রচারণা বাড়লে হয়তো আরও বৃদ্ধি পাবে।


তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী সন্তুষ্ট। তাদের মাঝে কর্ম-চাঞ্চল্য ফিরেছে।


জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, অনুমতি পাওয়ায় শুক্রবার প্রথম দিন এমভি পারিজাত ও রাজহংস নামের দুটি জাহাজ দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যায়। শনিবার কেয়ারি সিন্দাবাদ ও আটলান্টিক ক্রুজ চলাচল শুরু করে। অনুমতি পাওয়া অন্যান্য জাহাজগুলো চলাচল করবে।


তিনি বলেন, পর্যটকদের উন্নতমানের সেবা দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে ট্যুর গাইডসহ সংশ্লিষ্টরা যথেষ্ট আন্তরিক।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com