শিরোনাম
সাগরের মাঝে এক রহস্যময় দুর্গ!
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ১০:৩৭
সাগরের মাঝে এক রহস্যময় দুর্গ!
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চারপাশে জলরাশি। আশেপাশে নেই কোনো দ্বীপ কিংবা উপকূল। এই বিশাল জলরাশির মাঝেই আছে গোলাকার এক দুর্গ। বর্তমানে রহস্যময় এই দুর্গটি ব্যবহৃত হচ্ছে বিলাবহুল এক হোটেল হিসেবে। এর নাম স্পিটব্যাংক ফোর্ট৷ দক্ষিণ ইংল্যান্ডের উপকূল থেকে মাত্র এক সামুদ্রিক মাইল দূরত্বে৷ বিলাসবহুল সব হোটেলের মধ্যে এটিও অন্যতম।


অতীতে স্পিটব্যাংক ছিলো একটি ফোর্ট বা দুর্গ। যার কাজ ছিলো পোর্টসমথ বন্দরে ঢোকার মুখটি সুরক্ষিত করা। সেই ফোর্ট পরিণত হয়েছে একটি বিলাসবহুল হোটেলে। তীর থেকে হোটেল পর্যন্ত আসাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চার৷ তবে সাগরের স্রোত এখানে কম নয়, কাজেই বোটের ওঠা-নামায় সি-সিক হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে অনেকের।


১৩৮ বছরের পুরনো ফোর্টটি দেখলে মনে হবে না যে, এটি একটি লাক্সারি হোটেল। এই দুর্গে পৌঁছনোর পর অতিথিদের খাড়া সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। তারপর শুরু হয় শ্যাম্পেনের গ্লাস দিয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা।


দিন কয়েকের ছুটি কাটানোর জন্য স্পিটব্যাংক ফোর্টের জুড়ি নেই৷ ব্রিটিশ কোটিপতি মাইক ক্লেয়ার ফোর্টটি কেনেন ২০০৯ সালে। মাত্র ১৩ লাখ ইউরো মূল্যে কেনা হয় এই দুর্গ। পরে আরো ৪০ লাখ ইউরো ব্যয় করে ফোর্টের ডেকোরেশন পাল্টে দেয়া হয়৷ এটি হলো সমুদ্রের দিকে মুখ করা কামানের ঘরগুলোর একটি। আগে এখানে সাড়ে বারো ইঞ্চি ব্যাসের একটা কামানের ঘর।


স্পিটব্যাংক ফোর্টে এরকম ৯টি সুইট আছে। সেখানকার প্রত্যেকটি সুইটের স্টাইল আলাদা। দিনে ৬ হাজার ৩০০ ইউরো খরচ করতে পারলে গোটা স্পিটব্যাংক ফোর্টটাই বুক করা যায়। অতীতে পানির নীচের ঘরগুলোতে ২০০ সৈন্যের শোয়ার ব্যবস্থা ছিলো। এখানে দু'শ সৈন্যের খাবার তৈরি হতো। আজ সেখানে হোটেল গেস্টদের জন্য বার।


আজ ফোর্টের ৯টি বিলাসবহুল সুইটে ১৮ জন অতিথি রাত কাটাতে পারেন। তাদের অধিকাংশ এক কিংবা দুই রাত্রির বেশি থাকেন না। তবে অতীতের সেই কঠিন বাস্তবের কথা ভেবে সব অতিথিদের রোমাঞ্চ হয় বৈকি।


বিবার্তা/বিদ্যুৎ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com