শিরোনাম
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১০টি পর্যটন কেন্দ্র
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩৪
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ১০টি পর্যটন কেন্দ্র
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

পৃথিবীর মানচিত্রে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ৷ সমুদ্র-পাহাড়-নদী – সব পর্যটন আকর্ষণই আছে এই দেশটিতে৷ বাংলাদেশের ১০টি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের কথা তুলে ধরা হলো এখানে৷



দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত


পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার৷ প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য৷ কক্সবাজারকে তাই বলা হয় বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী৷ কক্সবাজার শহরে গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মানের হোটেল-রিসোর্ট৷



একমাত্র প্রবাল দ্বীপ


বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন৷ টেকনাফ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে জেগে ওঠা এ দ্বীপটির আয়তন প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার৷ এ দ্বীপের মূল আকর্ষণ সৈকত জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা, সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি আর স্থানীয়দের বিচিত্র জীবনযাপন৷ প্রায় দশ হাজার লোকের বসবাস এই দ্বীপে৷ এ দ্বীপের আরেক নাম ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’৷



নির্জন সমুদ্র সৈকত


বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরিবিলি ও পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত টেকনাফ৷ নির্জনে যারা অবকাশ যাপন পছন্দ করেন, তাদের জন্য আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য এটি৷



পাহাড় চূড়ায় নীলগিরি


বান্দরবান জেলাসদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের এ পর্যটন কেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত৷ এখান থেকে মেঘ ছুঁতে পারেন পর্যটকরা৷ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে কয়েকটি রিসোর্টও আছে৷



মেঘে ঢাকা নীলাচল


বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতায় এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে মেঘের লুকোচুরি দেখা যায়৷ নীলাচল থেকে পাখির চোখে দেখা যায় বান্দরবান শহরকেও৷



পাথর বিছানো বিছনাকান্দি


সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা বিছনাকান্দি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়৷ পাথর বিছানো বিস্তীর্ণ প্রান্তরের উপরে বয়ে চলা মেঘালয়ের পাহাড়ি ঝরনাধারা বিছনাকান্দির মূল আকর্ষণ৷



বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনা ষাট গম্বুজ


দক্ষিণাঞ্চলের জেলা শহর বাগেরহাটে অবস্থিত ষাট গম্বুজ মসজিদ৷ ১৯৮৩ সালে এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের একটি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে৷ নাম ষাট গম্বুজ হলেও মসজিদটিতে মূলত ৮১টি গম্বুজ আছে৷ খান জাহানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কীর্তি এটি৷ ধারণা করা হয়, ষাট গম্বুজ মসজিদটি তিনি নির্মাণ করেছিলেন ১৪৫৯ খ্রিষ্টাব্দের কিুছুকাল আগে৷



পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন


বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন৷ এর বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার৷ ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ বিপন্ন বেঙ্গল টাইগারের নিরাপদ আবাসস্থল এটি৷ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে যায়গাটি বেশ পছন্দের৷



রাঙামাটির ছাদ সাজেক ভ্যালি


সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় ‘রাঙামাটির ছাদ’৷ ভৌগোলিক অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যাতায়াতের সহজ পথ খাগড়াছড়ি হয়ে৷ সাজেকের আশপাশের গ্রামগুলোতে লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস৷ কমলা চাষের জন্য বিখ্যাত সাজেকে কফিও চাষ করা হয়৷



দক্ষিণের ভাসমান বাজার


দক্ষিণের জেলা শহর ঝালকাঠী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলি গ্রামের কৃত্তিপাশা খালের শতবর্ষের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ভাসমান বাজার৷ প্রায় সারা বছরই এ হাট বসলেও পেয়ারা ও আমড়ার মৌসুমে প্রায় তিন মাস এ হাট জমজমাট থাকে৷ সপ্তাহের প্রতিদিনই বসে ভাসমান এ হাট৷ ঝালকাঠী থেকে ছোট ছোট খালে ঘুরে এ সব এলাকার মানুষের বিচিত্র জীবনযাত্রাও দেখা যায়৷সূত্র: ডি ডব্লিউ


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com